চকবাজারের ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ নিয়ে আন্তঃমন্ত্রণালয় সভায় ভারপ্রাপ্ত শিল্প সচিব মো. আবদুল হালিমকে না পেয়ে ক্ষুব্ধ হলেন প্রধানমন্ত্রীর মুখ্য সচিব মো. নজিবুর রহমান।
Advertisement
রোববার বিকেলে সচিবালয়ে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ে এ সভা হয়। দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ প্রতিমন্ত্রী মো. এনামুর রহমান এতে সভাপতিত্ব করেন।
২০১০ সালে নিমতলীর অগ্নিকাণ্ডের পর গঠিত কমিটির সুপারিশগুলো তুলে ধরে সভায় ত্রাণ সচিব শাহ কামাল বলেন, ‘প্রথম সুপারিশ ছিল জরুরি ভিত্তিতে আবাসিক এলাকা থেকে রাসায়নিক গুদাম বা কারখানা সরিয়ে নেয়া। এখন সব কমিটির সুপারিশেও এটা আছে।’
তিনি মুখ্য সচিবের উদ্দেশ্যে বলেন, ‘স্যার আমাদের এখন টাইমলাইন দিয়ে দিতে হবে যে, কবের মধ্যে দাহ্য পদার্থ সরবে। আর এর দায়িত্ব কিন্তু শিল্প মন্ত্রণালয়ের। আমার মনে হয় শিল্প মন্ত্রণালয়ের যিনি রিপ্রেজেন্ট করছেন আপনি বলতে পারেন কত তারিখের মধ্যে আপনারা এটা সরিয়ে নেবেন।’
Advertisement
এ সময় শিল্প মন্ত্রণালয়ের এক কর্মকর্তা বলেন, ‘স্যার গুদাম তো আমরা নিয়ন্ত্রণ করি না। লাইসেন্স তো আমরা দেই না।’
তখন মুখ্য সচিব ওই কর্মকর্তার কাছে জানতে চান, ‘শিল্প সচিব মহোদয় কোথায়?’
ওই কর্মকর্তা বলেন, ‘শিল্প সচিব মহোদয় বরিশাল গেছেন, ওখানে আরেকটি প্রোগ্রাম আছে।’
এর পরিপ্রেক্ষিতে নজিবুর রহমান শিল্প মন্ত্রণালয়ের ওই কর্মকর্তাকে বলেন, ‘প্রায়োরিটি ডিসপ্লেসড, প্লিজ কনভে দিস ম্যাসেজ- (সচিবকে বলবেন) মুখ্য সচিব বলেছেন, প্রায়োরিটি হ্যাজ বিন সিরিয়াসলি ডিসপ্লেসড হেয়ার (এখানে অগ্রাধিকার নির্ধারণের ক্ষেত্রে ভীষণ বিচ্যুতি হয়েছে)। চকবাজার ছাড়া বাংলাদেশের তো কোনো গুরুত্বপূর্ণ জায়গা দেখছি না এ মুহূর্তে।’
Advertisement
বরিশালে ভারপ্রাপ্ত শিল্প সচিবের কী কর্মসূচি ছিল জানতে চাইলে শিল্প মন্ত্রণালয়ের একজন কর্মকর্তা জানিয়েছেন, এসডিজি বিষয়ে স্থানীয় প্রশাসনের সংশ্লিষ্টতা ও তাদের করণীয় নিয়ে একটি অনুষ্ঠানে যোগ দিতে বরিশাল যান শিল্প সচিব। তিনি অনুষ্ঠান শেষে সন্ধ্যার মধ্যে ঢাকায় চলেও এসেছেন।
প্রসঙ্গত, গত বুধবার (২০ ফেব্রুয়ারি) রাতে পুরান ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টার ওয়াহেদ ম্যানশনে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে ৬৭ জন নিহত হন।
আরএমএম/এনডিএস/জেআইএম