‘সামরিক বাহিনীর যৌথ কমান্ডো অভিযানে চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরে অবস্থানরত বিমান ছিনতাই চেষ্টাকারী ব্যক্তিকে আহত অবস্থায় আটক করা হয়েছে। যাত্রী ও ক্রু সবাই সুস্থ রয়েছেন। কেউ কোনো আঘাত পাননি। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সার্বক্ষণিক নির্দেশনায় এ অভিযান সফলভাবে পরিচালিত হয়।’
Advertisement
রোববার রাত পৌনে ৮টায় শাহ আমানত বিমানবন্দরে এক প্রেস ব্রিফিং এসব তথ্য জানান বিমান বাহিনীর এয়ারভাইস মার্শাল মফিদুর রহমান।
তিনি বলেন, বিমান ছিনতাইয়ের চেষ্টাকারী ওই ব্যক্তিকে টেলিফোনে ব্যস্ত রেখে বিশেষ কৌশলে অভিযান পরিচালিত হয়। ওই ব্যক্তি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে কথা বলতে চেয়েছিলেন। তিনি সুস্থ নাকি মানসিক রোগী সে সম্পর্কে তদন্ত শেষে বলা সম্ভব হবে বলে জানান মুফিত।
এদিকে সেনাবাহিনীর স্পেশাল ফোর্স চট্টগ্রাম শাহ আমানত বিমানবন্দরের দায়িত্ব গ্রহণ করেছে বলে জানিয়েছে আন্ত:বাহিনী গণসংযোগ পরিদফতর (আইএসপিআর)। আইএসপিআর-এর সহকারী পরিচালক রেজাউল করিম জাগো নিউজকে এ তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
Advertisement
এর আগে বিমানের ভেতরে থাকা কেবিন ক্রু কে উদ্ধার ও হাইজ্যাককারীকে গ্রেফতারে বিমানবন্দর এলাকায় প্রবেশ করে সেনাবাহিনীর কমান্ডো ইউনিট ও পুলিশের সোয়াত টিম। এছাড়া যেকোনো দুর্ঘটনা রোধে ফায়ারসার্ভিস অ্যান্ড সিভিল ডিফেন্সের চারটি ইউনিটের ১১টি গাড়ি ঘটনাস্থলে অবস্থান নেয় বলে জাগো নিউজকে জানান চট্টগ্রাম ফায়ার সার্ভিসের উপ-পরিচালক জসিম উদ্দিন।
এদিকে ওই ঘটনার পর থেকে শাহ আমানতে বিমান ওঠানামাসহ সব কার্যক্রম বন্ধ রয়েছে বলে জানা গেছে।
সূত্র জানায়, বাংলাদেশ বিমানের দুবাইগামী ময়ূরপঙ্খী উড়োজাহাজটি (বিজি-১৪৭) ঢাকা থেকে চট্টগ্রাম হয়ে দুবাই যাওয়ার কথা ছিল। বেলা সাড়ে ৩টায় ঢাকা থেকে ছেড়ে চট্টগ্রাম আসার পথেই এক ছিনতাইকারী পিস্তল হাতে বিমানের ককপিটে প্রবেশের চেষ্টা করে। পাইলট ও কেবিন ক্রুরা বিকেল ৫টা ৪০ মিনিটের দিকে ফ্লাইটটি জরুরিভাবে শাহ আমানতে অবতরণ করান।
দুবাইগামী ফ্লাইট ময়ূরপঙ্খীতে যাত্রী হিসেবে ছিলেন চট্টগ্রাম-৮ আসনের সংসদ সদস্য মঈন উদ্দীন খান বাদল। সন্ধ্যায় তিনি জাগো নিউজকে বলেন, ‘ভেতরে একজন হাইজ্যাকার আছে। তিনি বাঙালি। বিমান থেকে সব যাত্রীকে নামানো হয়েছে। এখন হাইজ্যাকারকে নামানোর চেষ্টা চলছে।’
Advertisement
সবশেষ বিমানবন্দরটির সার্বিক পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আছে বলে শাহ আমানত সূত্রে জানা গেছে।
আবু আজাদ/জেপি/এমইউ/এসএইচএস/জেআইএম