নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশন সবসময়ই ফাস্ট বোলারদের অনুকূলে থাকে। স্পিনাররা পান না তেমন কোনো সুবিধা। তার ওপরে আবার বাংলাদেশ দলে নেই অধিনায়ক এবং দলের সেরা টেস্ট বোলার সাকিব আল হাসান। যে কারণে ব্ল্যাকক্যাপসদের বিপক্ষে টেস্ট সিরিজে বোলিংয়ের দায়িত্বটা নিতে হবে ফাস্ট বোলারদেরই।
Advertisement
স্কোয়াডে ফাস্ট বোলার রয়েছেন ৪ জন। এদের মধ্যে এখনো অভিষেক হয়নি এবাদত হোসেন চৌধুরীর। বাকি তিন পেসার মোস্তাফিজুর রহমান, সৈয়দ খালেদ আহমেদ এবং আবু জায়েদ রাহী মিলে খেলেছেন মাত্র ১৬টি টেস্ট ম্যাচ।
উইকেট যতোই পেসার সহায়ক হোক না কেন, তাসমান পাড়ের বিরুদ্ধ কন্ডিশনে এমন অনভিজ্ঞ পেস বোলিং ডিপার্টমেন্ট নিয়ে লড়াই করা বেশ কঠিন কাজই হবে বাংলাদেশের জন্য। তবে কাজটি সহজ করার জন্য এরই মধ্যে নিজের শিষ্যদের বটিকা দিয়েছেন টাইগারদের পেস বোলিং কোচ কোর্টনি ওয়ালশ।
৫৬ বছর বয়সী ক্যারিবীয়ান কিংবদন্তির মতে নিউজিল্যান্ডের কন্ডিশনে স্রেফ ধারাবাহিকভাবে এক জায়গায় বোলিং করতে পারলেও মিলবে সাফল্য। আর স্পিনবিমুখ কন্ডিশন ও উইকেটে পেসাররা সফল হলে ভবিষ্যতে বাংলাদেশের জন্যই ভালো হবে বলে জানান তিনি।
Advertisement
রোববার টেস্ট সিরিজ শুরুর আগে একমাত্র প্রস্তুতি ম্যাচের শেষদিন উপস্থিত সাংবাদিকদের ওয়ালশ বলেন, ‘আমার বার্তা একটাই, ধারাবাহিকতা, ধারাবাহিকভাবে ভালো জায়গায় যতো বেশি সম্ভব বোলিং করা যায়। আমরা এটি নিয়ে অনুশীলনে অনেক কাজ করেছি। তবে হতাশার ব্যাপার হলো বৃষ্টির কারণে প্রস্তুতি ম্যাচে দেখা হলো না বোলাররা কতোটা কাজে লাগাতে পারছে।’
তিনি আরও বলেন, ‘এখানের কন্ডিশন একদমই স্পিন সহায়ক নয়। তাই এটাই মূলত সুযোগ পেসারদের জন্য, কিছু করে দেখানোর এবং নিজেদের প্রতিষ্ঠা করার। যা পরে বাংলাদেশের জন্যও ভালো ফল বয়ে আনবে।’
এসময় প্রস্তুতি ম্যাচে বোলাররা যথাযথ বোলিং করতে না পারায়া আক্ষেপ শোনা যায় ওয়ালশের কণ্ঠে, ‘আমরা জানতাম যে বৃষ্টি হবে। তাই আমাদের চেষ্টা ছিলো অনুশীলনেই সব গুছিয়ে নেয়ার। তবু ম্যাচে দুইটি ভালো স্পেল অনুশীলনের চেয়েও বেশি কার্যকর। আমরা হতাশ যে সুযোগটা পেলাম না। এখন আমাদের অপেক্ষা করতে হবে টেস্ট ম্যাচের জন্য। তবে তার আগে স্কিল নিয়ে কাজ করে যাবো।’
এসএএস/আরআইপি
Advertisement