চাঁদপুরের চাঞ্চল্যকর লিয়াকত হত্যা মামলার দুই আসামিকে এক মাসের মধ্যে বিচারিক (নিন্ম) আদালতে আত্মসমর্পণ করার নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। একই সঙ্গে আসামিদের জামিন বাতিল করে তদের বিরুদ্ধে অভিযোগ গঠনের নির্দেশ দেন আদালত।বৃহস্পতিবার হাইকোর্টের বিচারপতি কামরুল ইসলাম সিদ্দিকী ও বিচারপতি গোবিন্দ চন্দ্র ঠাকুরের সমন্বয়ে গঠিত বেঞ্চ এ আদেশ দেন।আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন অ্যাডভোকেট এএম আমিন উদ্দিন। সঙ্গে ছিলেন অ্যাডভোকেট শফিকুর রহমান। অপরদিকে আসামি পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী অ্যাডভোকেট আব্দুল বাসেদ মজুমদার, ফজলে নুর তাপস, মেহেদী হাসান চৌধুরী।প্রসঙ্গত, ২০১২ সালের ১০ মে জমি-জমা নিয়ে প্রকাশ্যে রামদা ও চাপাতি দিয়ে কুপিয়ে লিয়াকত উল্লাহ সরকাকে হত্যা করা হয়। এই ঘটনায় পরদিন চাঁদপুরের মতলব উত্তর থানায় হত্যা মামলা দায়ের করেন নিহতের ভাতিজা মো. তৌফিক আজিম মিশু।মামলায় মো. মইনুউদ্দিন হোসেন টুনু এবং মোহাম্মদ এহসানসহ মোট ১৬ জনকে আসামি করা হয়। ২০১৩ সালের ৬ মার্চ মো. মঈনুউদ্দিন হোসেন টুনুকে প্রধান আসামি রেখে চার্জশিট দাখিল করেন।ওই মামলার প্রধান আসামি মো. মঈনুউদ্দিন হোসেন টুনু ও তার ছেলে মোহাম্মদ এহসানকে গত ৮ এপ্রিল চাঁদপুর জেলা ও দায়রা জজ আদালতের বিচারক মো. মফিজুল ইসলাম অব্যাহতি দেন।এ বিষয়ে গত ৩১ মে প্রধান বিচারপতি বরাবর অভিযোগ করেন এ মামলার বাদি তৌফিক আজিম মিশু। লিখিত অভিযোগে বলা হয় জেলা দায়রা জজ মো. মফিজুল ইসলাম লিয়াকত হত্যা মামলার অব্যাহতি পাওয়া আসামি এহসানের সঙ্গে মোবাইল ফোনে কথা বলেছেন। দুই আসামিকে অব্যাহতি দেয়ার আগের দিন ৭ এপ্রিল আসামি এহসানের সঙ্গে চারবার কথা বলেছেন সংশ্লিষ্ট বিচারক।বাদীর অভিযোগ বিচারক ও আসামির মধ্যে ফোনালাপের কারণে বিশেষ কোনো ‘সমঝোতা’ হয়ে থাকতে পারে। বাদীর আবেদনের ভিত্তিতে বিষয়টি তদন্তের জন্য একটি কমিটি গঠন করা হয়। গত ৭ জুন অভিযোগ তদন্ত করে ইতিমধ্যে প্রতিবেদনও জমা দিয়েছেন বলে জানা গেছে।নিন্ম আদালতে আসমিকে অব্যাহতি দেয়ার পর এক রিভিশন আবেদনের শুনানি শেষে হাইকোর্টের বিচারপতি মো.নরুজ্জামান ও বিচারপতি মো. আব্দুর রবের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট ডিভিশন বেঞ্চ এই রুল জারি করেন।এফএইচ/এসকেডি/পিআর
Advertisement