কম্বোডিয়ার বিপক্ষে ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচ এবং বাহরাইনে এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ চ্যাম্পিয়নশিপের বাছাই পর্বে মধ্যে ব্যবধান ১৩ দিন। ৯ মার্চ কম্বোডিয়ার রাজধানী নমপেনের অলিম্পিক স্টেডিয়ামে স্বাগতিকদের বিরুদ্ধে ফিফা ফ্রেন্ডলি ম্যাচ খেলবে। এটি জাতীয় ফুটবল দলের পাঁচ মাস পর আন্তর্জাতিক ম্যাচ।
Advertisement
লাল-সবুজ জার্সিধারীরা সর্বশেষ আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছে গত বছর ১০ অক্টোবর কক্সবাজারে বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপের সেমিফাইনালে ফিলিস্তিনের বিরুদ্ধে।
কম্বোডিয়া ম্যাচের জন্য এ সপ্তাহেই দল ঘোষণার কথা ছিল প্রধান কোচ জেমি ডে’র। তবে ১৫ ফেব্রুয়ারি তিনি দেশে গেছেন। ফিরবেন ১ মার্চ। তবে যাওয়ার আগে ৩০ জনের তালিকা দিয়ে গেছেন বাফুফেতে। যে তালিকাটা বাফুফে পাঠিয়েছে কম্বোডিয়ায়। এ তালিকা থেকে ৭ জন বাদ দিয়ে ২৩ ফুটবলার নিয়ে নমপেনের উদ্দেশ্যে ৬ মার্চ ঢাকা ছাড়বেন জেমি ডে।
কম্বোডিয়ার বিপক্ষে ম্যাচের জন্য কেমন হচ্ছে জেমি ডে’র দল? বিভিন্ন ভেন্যুতে প্রিমিয়ার লিগের ম্যাচ দেখেই ৩০ ফুটবলার বেছে নিয়েছেন কোচ। যাদের বেশিরভাগই তরুণ। কম্বোডিয়ার বিপক্ষে ম্যাচটিকে জেমি ডে নেবেন এএফসি অনূর্ধ্ব-২৩ চ্যাম্পিয়শিপের ওয়ার্মআপ হিসেবে। যে কারণে তার দলে প্রধান্য থাকছে তারুণ্যের। সিনিয়রদের বেশিরভাগেরই জায়গা হচেছ না এই সফরে। তবে কোচ জেমি ডে খেলোয়াড় তালিকা নিয়ে পুরোপুরি মুখ বন্ধই রেখেছেন।
Advertisement
বঙ্গবন্ধু গোল্ডকাপে যে ২৩ ফুটবলার ছিলেন বয়সের কারণে তাদের ১১ জনকেই বাদ দিতে হবে বাহরাইন সফরের জন্য। তবে এই ১১ জনের মধ্যে কম্বোডিয়া সফরে থাকছেন কয়েকজন। জাতীয় দলে ভারসাম্য রাখতে কয়েকজন সিনিয়র রাখবেন। তবে যাদের বয়স ত্রিশের উপরে এমন খেলোয়াড়কে দলে না রাখার সম্ভাবনাই বেশি। ডিফেন্ডার ওয়ালি ফয়সাল আর মিডফিল্ডার মামুনুল ইসলাম চলে যাচ্ছেন বাতিলের খাতায়।
জেমি ডে’র দুশ্চিন্তা একটাই আক্রমনভাগ। প্রিমিয়ার লিগের ৭ রাউন্ড পর্যন্ত আবাহনীর নাবিব নেওয়াজ জীবন আর বসুন্ধরা কিংসের মতিন মিয়া ছাড়া আক্রমনভাগে আর কেউ কোচকে সন্তুষ্ট করতে পারেননি। গোলদাতাদের তালিকার শীর্ষ ১৫ জনের মধ্যে স্থানীয় ফুটবলার আছেন ৩ জন। জীবন, মতিন ছাড়া আরামবাগ ক্রীড়া সংঘের জাহিদ। এ দুই জনের মধ্যে জীবন ও মতিন থাকছেন জেমির দলে।
তবে বাহরাইনে জীবনকে পাবেন না কোচ। তার বয়স ২৯ বছর ধরধর। ২০ বছরের মতিন মিয়াই তখন নেতৃত্ব দেবেন যুব দলের আক্রনভাগে। জেমি ডে যে তরুণদের দিকে তাকিয়ে তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্যরা হলেন-গোলরক্ষক আনিসুর রহমান জিকো, ডিফেন্ডার টুটুল হোসেন বাদশা, বিশ্বনাথ ঘোষ, সুশান্ত ত্রিপুরা, আশরাফুল ইসলাম, রহমত মিয়া, মিডফিল্ডার বিপলু আহমেদ, মাসুক মিয়া জনি, রবিউল হাসান, ফরোয়ার্ড মাহবুবুর রহমান সুফিল, জাভেদ খান ও মতিন মিয়া।
এসএএস/আরআইপি
Advertisement