গত সপ্তাহে প্রধান শেয়ারবাজার ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) মূল্য সূচকে মিশ্র প্রবণতা দেখা গেলেও অপরিবর্তিত রয়েছে সার্বিক মূল্য আয় অনুপাত (পিই রেশিও)।
Advertisement
বাজার পর্যালোচনায় দেখা যায়, গত সপ্তাহে চার কার্যদিবস লেনদেন হয়। এর মধ্যে তিন কার্যদিবসেই ঊর্ধ্বমুখী ছিল শেয়ারবাজার। তবে সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৬৬ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে।
এতে কমেছে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স। অবশ্য বেশিরভাগ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমার পরও ডিএসইর অপর দুটি মূল্য সূচক ডিএসই-৩০ এবং ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক কিছুটা বেড়েছে।
মূল্য সূচকের এমন মিশ্র প্রবণতার মধ্যেও অপরিবর্তিত রয়েছে ডিএসইর পিই রেশিও। গত সপ্তাহের শুরুতে ডিএসইর পিই ছিল ১৬ দশমিক ৩১ পয়েন্টে, যা সপ্তাহ শেষে ১৬ দশমিক ৩১ পয়েন্টেই অবস্থান করছে।
Advertisement
খাতভিত্তিক তথ্য পর্যালোচনায় দেখা যায়, সব থেকে কম পিই রেশিও রয়েছে ব্যাংক খাতের। সপ্তাহ শেষে ব্যাংক খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ১০ দশমিক ৩৬ পয়েন্টে। এর পরেই রয়েছে বিদ্যুৎ ও জ্বালানি খাত। এ খাতের পিই রেশিও অবস্থান করছে ১৩ দশমিক ৩৫ পয়েন্টে।
এ ছাড়া টেলিযোগাযোগ খাতের ১৫ দশমিক ৩৯ পয়েন্টে, বীমা খাতের ১৫ দশমিক ৫৪ পয়েন্টে, প্রকৌশল খাতের ১৬ দশমিক ০৩ পয়েন্টে, চামড়া খাতের ১৬ দশমিক ৬৭ পয়েন্টে, সেবা ও আবাসন খাতের ১৭ দশমিক ৫৯ পয়েন্টে, বস্ত্র খাতের ১৭ দশমিক ৮৫ পয়েন্টে, ওষুধ ও রসায়ন খাতের ১৯ দশমিক ২৭ পয়েন্টে পিই রেশিও অবস্থান করছে।
বাকি খাতগুলোর ইপি ২০-এর ওপরে অবস্থান করছে। এর মধ্যে তথ্যপ্রযুক্তি খাতের ২০ দশমিক ২৮ পয়েন্টে, সিরামিক খাতের ২০ দশমিক ৪৬ পয়েন্টে, ভ্রমণ ও অবকাশ খাতের ২০ দশমিক ৬৬ পয়েন্টে, খাদ্য খাতের ২১ দশমিক ৬০ পয়েন্টে, আর্থিক খাতের ২৪ দশমিক ২৫ পয়েন্টে, বিবিধ খাতের ২৭ দশমিক ১২ পয়েন্টে, পেপার খাতের ৩৫ দশমিক ৯২ পয়েন্টে, সিমেন্ট খাতের ৩৯ দশমিক ৬০ পয়েন্টে এবং পাট খাতের ৭৭৩ পয়েন্টে।
এমএএস/এনডিএস/এমকেএইচ
Advertisement