কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সন্ত্রাসী হামলার পর ভারতীয়দের পক্ষ থেকে জোর দাবি উঠেছে, বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচটি যেন বয়কট করে ভারত। সাবেক অধিনায়ক সৌরভ গাঙ্গুলি, আজহারুদ্দিন থেকে শুরু করে হরভজন সিংরা পর্যন্ত পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ বয়কট করার দাবি জানান। গৌতম গম্ভীর তো সরাসরি যুদ্ধই ঘোষণা করলেন বলতে গেলে।
Advertisement
এমন পরিস্থিতিতে শুক্রবার বৈঠকে বসেছিল বিসিসিআইয়ের কমিটি অব অ্যাডমিনিস্ট্রেশন (সিওএ)। সেখানে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, যদি আইসিসির ইভেন্টে ভারত ম্যাচ বয়কটের মত চিন্তা করে তাহলে বহিস্কার হওয়ারও সম্ভাবনা আছে। সুতরাং, তড়িঘড়ি কোনো সিদ্ধান্ত নয়। বরং, বল ঠেলে দেয়া হলো ভারতীয় সরকারের কোর্টে।
অন্যদিকে ভারতের বর্তমান অধিনায়ক বিরাট কোহলির কি মতামত পাকিস্তানের বিপক্ষে বিশ্বকাপের ম্যাচ নিয়ে? এ প্রশ্নও উঠে গেছে। এমনকি রোববার অস্ট্রেলিয়ার বিরুদ্ধে টি-টোয়েন্টি সিরিজের প্রথম ম্যাচে মাঠে নামার আগে আজ যখন মিডিয়ার মুখোমুখি হলেন কোহলি, তখন তার সামনে এই প্রশ্ন তোলা হয়।
প্রশ্নের মুখোমুখি হওয়ার পর নিজের ভাবনার কথা জানিয়ে দিলেন ভারতের বর্তমান অধিনায়ক। অত্যন্ত কৌশলে, কুটনৈতিক ভাষায় জবাব দিলেন তিনি। পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে ভারতের কেন্দ্রীয় সরকার ও ভারতীয় ক্রিকেট কন্ট্রোল বোর্ড বিসিসিআই যে সিদ্ধান্ত নেবে, সেটাই মেনে চলবেন বলে জানিয়েছেন কোহলি।
Advertisement
৩০ মে থেকে ইংল্যান্ডে শুরু হওয়ার বিশ্বকাপের আসর। এরপর ১৬ জুন ম্যানচেস্টারে রয়েছে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ। সেই ম্যাচ নিয়ে চলছে জোর জল্পনা-কল্পনা। এমনকি, সম্ভাবনা দেখা দিয়েছে পাকিস্তানের বিপক্ষে ভারতের না খেলা নিয়েও।
এ বিষয়টাই যখন উঠে এলো কোহলির কাছে, তখন এ ব্যাপারে তিনি বলেন, ‘পুলওয়ামায় সন্ত্রাসী হামলায় যারা প্রাণ হারিয়েছেন, তাদের প্রতি আমাদের আন্তরিক শ্রদ্ধা রইল। আমরা গোটা দেশের চাওয়ার পাশে রয়েছি। বিসিসিআই যে সিদ্ধান্ত নেবে তা মেনে চলব। কেন্দ্রীয় সরকার যে সিদ্ধান্ত নেবে, সেটাই মানব।’ অর্থাৎ, এই ম্যাচ খেলা উচিত কি না, সেই প্রশ্নে সরাসরি উত্তর এড়িয়ে গেলেন বিরাট কোহলি।
ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের পক্ষ থেকে আইসিসির কাছে বিশ্বকাপের ম্যাচ নিয়ে একটি চিঠি পাঠানো হয়। সেই চিঠিতে ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ডের প্রধান নির্বাজহী রাহুল জোহরি লিখেছেন, ‘পুলওয়ামার সন্ত্রাসী জামলার মতো ঘৃণ্য আক্রমণের নিন্দা করেছে আইসিসির সব সদস্য দেশ। সন্ত্রাসবাদকে যে দেশ প্রশ্রয় দিচ্ছে, তাতে আইসিসির উচিত তাদের সঙ্গে সব রকম সম্পর্ক ছিন্ন করা।’
তবে কোন দেশ সন্ত্রাসবাদকে প্রশ্রয় দিচ্ছে, তা অবশ্য লেখা হয়নি সে চিঠিকে। যদিও এখানে পাকিস্তানকেই যে বোঝানো হচ্ছে, তা পরিষ্কার। একইসঙ্গে চিঠিতে আরও বলা হয়েছে, ‘ভারতীয় বোর্ড আসন্ন বিশ্বকাপে ক্রিকেটার এবং সমর্থকদের নিরাপত্তা নিয়েও উদ্বিগ্ন। আশা করি, আইসিসি এবং ইসিবি (ইংল্যান্ড ক্রিকেট বোর্ড) ক্রিকেটার, ম্যাচ কর্মকর্তা এবং সমর্থকদের কঠোরতম নিরাপত্তা দেবে।’
Advertisement
আইএইচএস/জেআইএম