কোনো বিপদ বা সংকট আসার আগে মানুষ যদি সে বিপদ কিংবা সংকট সম্পর্কে সামান্যতম ইঙ্গিতও পায়, তাতেই মানুষের মাঝে অস্থিরতা ও পেরেশানি বেড়ে যায়। অনেক সময় এমনও হয় যে, বিপদ বা সংকট যতটা না মারাত্মক, মানুষ তার চেয়ে অনেক বেশি পেরেশানি ভোগ করে।
Advertisement
এ অস্থিরতা ও পেরেশানি যে শুধু বর্তমান সময়ে থাকে তা নয়; বরং ইসলামের প্রথম যুগে সাহাবায়ে কেরামের মাঝেও তা অনেক সময় পরিলক্ষিত হতো। যদিও মহান আল্লাহ তাআলার ওপর তাদের ছিল অগাধ আস্থা এবং বিশ্বাস। আর ছিল প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের সান্ত্বনা ও সদুপদেশ।
কঠিন বিপদ অস্থিরতা ও পেরেশানিতে আল্লাহর সাহায্য লাভে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শেখানো ছোট্ট দোয়াটি ছিল এমন-اللَّهُمَّ اسْتُرْ عَوَرَاتِنَا ، وَآمِنْ رَوَعَاتِنَا
উচ্চারণ : আল্লাহুম্মাসতুর আওয়ারাতিনা ওয়া আমিন রাওয়াআতিনা।’ (মুসনাদে আহমদ)অর্থ : হে আল্লাহ! আপনি আমাদের সব দুর্বলতাকে ঢেকে দিন এবং আমাদের অস্থিরতাকে স্থির করে দিন।’
Advertisement
ইসলামের প্রথম বড় সমরাভিযান ‘আহযাব’ তথা খন্দকের যুদ্ধ। যে যুদ্ধে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম মদিনার হেফাজতে আত্মরক্ষামূলক শত্রুদের বেরিকেড সৃষ্টিতে খাল খনন করেছিলেন।
সাহাবায়ে কেরাম সে সংকটময় সময়টিতে অতিরিক্ত পেরশান হয়ে আল্লাহর কাছে সাহায্য লাভে কী দোয়া পড়বেন তা জানতে চান-‘হে আল্লাহর রাসুল! এ কঠিন সময়ে আমাদের জন্য কোনো দোয়া বা আমল আছে কি? তখন প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম এ দোয়াটি পড়ার কথা বলেন। সাহাবায়ে কেরাম উল্লেখিত দোয়াটি পড়েন এবং আল্লাহ তাআলা ঝড়ো-বাতাসের মাধ্যমে মুসলিম বাহিনীকে শত্রুর মোকাবেলা থেকে হেফাজত করেন।
সুতরাং সংকটময় পরিস্থিতে চিন্তা ও অস্থিরতার সময় মহান আল্লাহর কাছে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের শেখানো দোয়া ও আমলের মাধ্যমে সাহায্য চাওয়া আবশ্যক। এ আমল ও দোয়ার ওসিলায় আল্লাহ মুমিন-মুসলমানকে কঠিন পরিস্থিতিতেও চিন্তা ও অস্থিরতামুক্ত করেন। মুমিনদেরকে দান করেন বিজয় ও প্রশান্তি। খন্দকের যুদ্ধই তার প্রমাণ।
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে এ ছোট্ট দোয়ার আমলটি যথাযথ আদায় করার মাধ্যমে দুনিয়ার যাবতীয় পেরেশানি ও অস্থিরতা থেকে মুক্ত থাকার তাওফিক দান করুন। আমিন।
Advertisement
এমএমএস/আরআইপি