পদের নাম জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার (সিভিল)। কমপক্ষে ১৭ হাজার প্রার্থী আবেদন করেছিলেন পদটির জন্য। তবে তার মধ্যেই নজর কেড়েছে সানি লিওনির নাম। মোট ৯৮.৫০ পয়েন্ট নম্বর পেয়েছেন সানি। তার মধ্যে ৭৩.৫ শিক্ষা-সংক্রান্ত এবং ২৫ অভিজ্ঞতার ভিত্তিতে পয়েন্ট দেয়া হয়েছে তাকে। সবমিলিয়ে রেকর্ড নম্বর পেয়ে ওই পরীক্ষায় প্রথম স্থান অধিকার করেছেন সাবেক এই পর্নতারকা।
Advertisement
তবে এই সানি লিওন ‘বেবি ডল’ খ্যাত বলিউডের সেই সানি লিওন নন। এই সানি ভারতের বিহারের বাসিন্দা। ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ার পর সরকারি চাকরি খুঁজছিলেন। তাই বিহারের জনস্বাস্থ্য কারিগরী বিভাগের জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার নিয়োগের পরীক্ষায় বসেছিলেন। পরীক্ষার রেজাল্ট বেরোতেই বাজিমাত। ৯৮.৫০ ... নম্বর পেয়ে রাজ্যে প্রথম স্থান পান সানি। আর তারপরেই ভাইরাল হয়ে যায় তার রেজাল্ট।
ভারতের সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়ান এক্সপ্রেস জানিয়েছে, তালিকা অনুযায়ী ওই নারীর বয়স দেয়া হয়েছে ২৭ বছর। বাবার নাম লিওনা লিওন। কোনো কোটা ছাড়াই আবেদন করা ওই নারীর ইতোমধ্যে একই পদে পাঁচ বছরের অভিজ্ঞতাও রয়েছে। যে কারণে প্রথম হয়েছেন তিনি।
কর্মকর্তারা বলছেন, কেউ হয়তো ভুয়া নাম ঠিকানা ব্যবহার করে আবেদনটি করেছে। এ ঘটনায় তাদের কোনো দোষ নেই। তবে আবেদনটি ভুয়া নাকি সত্যিই সানি লিওন নামে প্রার্থী রয়েছেন বিষয়টি নিশ্চিত নয়।
Advertisement
জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ার পদের জন্য দেয়া ওই সার্কুলারে মোট ২১৪ জনকে নিয়োগ করা হবে। প্রাথমিকভাবে যৌগ্য প্রায় ১৮ হাজার প্রার্থী।
পরবর্তী পরীক্ষায় তাদের মধ্য থেকে ৬৪২ জনকে নেয়া হবে। সেই পরীক্ষা সানি লিওন অংশগ্রহণ করলে পরবর্তী ধাপে হবে ভাইভা। নাগরিকত্ব ও নামের প্রমাণসহ সকল কাগজপত্র নিয়ে উপস্থিত হতে হবে সানি লিওনকে। সেখানে তিনি আসেন কি না সেই অপেক্ষায় এখন কর্মকর্তারা।
এ নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় অনেককে মজাও করতে দেখা গেছে। অনেকেই বলছেন, যার নামেই সানি, সে তো সোনার মেয়ে হবেই।
২০১৬-তে বিহারের উচ্চ মাধ্যমিক পরীক্ষায় দুর্নীতি গোটা দেশে সাড়া ফেলে দিয়েছিল। প্রশ্ন উঠেছিল বিহারের শিক্ষাব্যবস্থার মান নিয়েও। গত বছর উচ্চমাধ্যমিক পরীক্ষায় নকল করার জন্য প্রায় এক হাজার ছাত্রকে বহিষ্কার করে বিহার বোর্ড।
Advertisement
কখনো পরীক্ষায় অসুদপায় অবলম্বন, আবার কখনো ভুয়া পরীক্ষার্থী নিয়ে বারবারই দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে বিহারের শিক্ষাব্যবস্থায়। জুনিয়র ইঞ্জিনিয়ারিং পদের টপারের নাম নিয়েই শুধু বিভ্রান্তি তৈরি হয়নি, তৃতীয় স্থান অধিকারীর নাম নিয়েও উঠেছে প্রশ্ন। তালিকায় দেখা গেছে, ওই পদে নাম রয়েছে ‘bvcxzbnnb।’ এমন নাম কীভাবে এলো, সেটাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে জানিয়েছেন শিক্ষা দফতরের কর্মকর্তারা।
এসআর/পিআর