দেশজুড়ে

ফেনীতে দাফন করা হলো জামাই-শ্বশুরসহ তিনজনের লাশ

পুরান ঢাকার চকবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে পুড়ে অঙ্গার ফেনীর তিনজেনের মরদেহ দাফন করা হয়েছে। শুক্রবার ফেনী সদর উপজেলার লেমুয়ায় নিহত মো. ইব্রাহীম (২৭) ও আনোয়ার হোসেন (২৫) এবং সোনাগাজী উপজেলার নবাবপুরে সুজাউল হকের (৫৬) মরদেহ পারিবারিক কবরস্থানে তাদের দাফন করা হয়।

Advertisement

নিহত সুজাউল হকের ছেলে মো. পারভেজ জানান, তার বাবা সুজাউল হক দীর্ঘদিন ধরে চকবাজারে পুড়ে যাওয়া একটি ভবনের নিরাপত্তাকর্মী হিসেবে কাজ করতেন। একই এলাকার একটি প্লাস্টিক কারখানার সামনে পান বিক্রি করতেন বোনের স্বামী মো. ইব্রাহিম ও আনোয়ার হোসেন। বুধবার রাতে চকবাজারে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে তিনজন দগ্ধ হয়ে মারা যান।

নিহত সুজাউল হক সোনাগাজী উপজেলার নবাবপুর ইউনিয়নের গোয়ালিয়া গ্রামের আযু মিয়ার ছেলে। মো. ইব্রাহীম ফেনী সদর উপজেলার লেমুয়া ইউনিয়নের নেয়ামতপুর গ্রামের আজিজুল হকের ছেলে ও সুজাউল হকের জামাই। অপরজন আনোয়ার হোসেন একই গ্রামের সাদেক ভূঞার ছেলে।

এদিকে শুক্রবার ভোররাতে তাদের মরদেহ ফেনী এসে পৌঁছালে স্বজনদের আহাজারিতে আকাশ-বাতাশ ভারি হয়ে ওঠে। মরদেহ দেখতে স্বজনরা ছাড়াও শতশত মানুষ ভিড় জমায়। পরে সকালে পৃথক স্থানে জানাজা শেষে তাদের মরদেহ দাফন করা হয়।

Advertisement

লেমুয়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোশাররফ হোসেন নাসিম বলেন, ইব্রাহিম ও আনোয়ার দীর্ঘদিন ধরে রাজধানীর চকবাজারে পানের ব্যবসা করতো। শুনেছি ইব্রাহিমের শ্বশুর সুজাউল হক সেখানে নিরাপত্তাকর্মী ছিলেন। তিনজনই আগুনে পুড়ে মারা গেছেন।

নবাবপুর ইউনিয়নে চেয়ারম্যান দেলোয়ার হোসেন বলেন, সুজাউল হকের মৃত্যুতে পরিবার অসহায় হয়ে পড়েছে। ইউনিয়ন পরিষদের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত সহযোগিতা করা হবে।

এর আগে বুধবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর পুরান ঢাকার চকবাজারের চুড়িহাট্টায় গাড়ির গ্যাস সিলিন্ডার বিস্ফোরণে আশপাশের ক্যামিকেল ও প্লাস্টিক কারখানায় আগুন ধরে ওয়াহেদ ম্যানশনসহ বেশ কয়েকটি ভবন ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়। ফায়ার সার্ভিসের ৩৭টি ইউনিটের দুই শতাধিক কর্মী টানা ১০ ঘন্টা চেষ্টা চালিয়ে আগুন নিয়ন্ত্রণে আনলেও অগ্নিদগ্ধ হয়ে ৭০ জন মারা যান।

রাশেদুল হাসান/আরএআর/পিআর

Advertisement