দেশজুড়ে

প্রতিবেশীর সঙ্গে প্রেমে জড়িয়ে স্কুলছাত্রীর সর্বনাশ

রংপুরের কাউনিয়া উপজেলার হারাগাছে আপত্তিকর ভিডিও ধারণ করে ১০ম শ্রেণির এক ছাত্রীকে (১৫) একাধিকবার ধর্ষণের অভিযোগ উঠেছে। এ ঘটনায় ওই ছাত্রীর প্রেমিকসহ দুই যুবককে গ্রেফতার করেছে পুলিশ।

Advertisement

এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার ওই ছাত্রীর ভাই বাদী হয়ে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইন এবং পর্নগ্রাফি আইনে দুটি মামলা করেছেন।

এ মামলায় গ্রেফতাররা হলেন- উপজেলার সারাই ইউনিয়নের ভিতরকুটি মাঠেরপাড়া গ্রামের মানু মিয়া ছেলে মো. রাসেল মিয়া (২১) ও ধুমেরকুটি গ্রামের মমিন মিয়ার ছেলে মো. মঞ্জুরুল ইসলাম (২২)। তারা রংপুর কারমাইকেল কলেজের অনার্স প্রথম বর্ষের ছাত্র।

পুলিশ জানায়, স্থানীয় একটি বিদ্যালয়ের ১০ শ্রেণির ওই ছাত্রীকে প্রতিবেশী কলেজছাত্র রাসেল দীর্ঘদিন প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে আসছিল। মেয়েটি প্রথমে সাড়া না দিলেও একপর্যায়ে রাসেলের সঙ্গে প্রেমের সম্পর্কে জড়িয়ে পড়ে। এরপর রাসেল প্রেমের অভিনয় করে মেয়েটিকে রংপুর শহরের অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে গিয়ে তার ইচ্ছার বিরুদ্ধে শারীরিক সম্পর্কে মিলিত হয়। একই সঙ্গে রাসেলের সহযোগী বন্ধু মঞ্জুরুল গোপন ক্যামেরায় এ ঘটনার ভিডিও ধারণ করে। এরপর রাসেল ভিডিওটি ইন্টারনেটে ছড়িয়ে দেয়ার ভয় দেখিয়ে মেয়েটিকে বিভিন্ন স্থানে নিয়ে গিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে। গত ৯ ফেব্রুয়ারি রাসেল ভয় দেখিয়ে মেয়েটিকে অজ্ঞাত স্থানে নিয়ে আবার ধর্ষণ করে। প্রথম ঘটনার দিন থেকেই মেয়েটি অনেকটা অপ্রকৃতিস্থ হয়ে পড়ে। সে খাওয়া-দাওয়া বন্ধ করে দেয়। হঠাৎ তার অস্বাভাবিক আচরণ পরিবারের সবাইকে ভাবিয়ে তোলে। পরে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হলে সে বিষয়টি পরিবারকে জানায়।

Advertisement

রংপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের হারাগাছা থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আব্দুর রশিদ বলেন, এ ঘটনায় বৃহস্পতিবার মেয়েটির ভাই বাদী হয়ে রাসেল ও মঞ্জুরুলের বিরুদ্ধে নারী ও শিশু নির্যাতন দমন আইনে ও পর্নগ্রাফি আইনে দুইটি মামলা করেছেন। এরপর অভিযান চালিয়ে আসামি রাসেল ও তার সহযোগী মঞ্জুরুলকে গ্রেফতার করা হয়েছে। প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে তারা ধর্ষণের অভিযোগ স্বীকার করেছেন। মেয়েটিকে শারীরিক পরীক্ষার জন্য রংপুর মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠানো হয়েছে।

তিনি আরও বলেন, রাসেল ও তার রহযোগী মঞ্জুরুল গোপন ক্যামেরায় মেয়েদের ধর্ষণের ভিডিও ধারণ করে ব্লাকমেইল করে মোটা অংকের টাকা আদায় করত। এছাড়ও তারা একটি চক্রের মাধ্যমে নগ্ন ছবি ও ধর্ষণের ভিডিও বিদেশে পাচার করত। আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে আরও জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে বলেও ওসি জানান।

জিতু কবীর/আরএআর/পিআর

Advertisement