একুশে বইমেলা

বইমেলাকে আরো সুন্দর করতে হলে স্টল বিন্যাসে আমূল পরিবর্তন আনতে হবে

সাহিত্যের প্রতি ভালোবাসা থেকেই প্রকাশনা জগতে পদার্পণ করেছেন নাজমুল হুদা রতন। তার প্রকাশনা প্রতিষ্ঠান ‘সাহস’। ভালো মানের বই প্রকাশ করে ‘সাহস’ এরই মধ্যে পাঠকের ভালোবাসা লাভ করছে। বইমেলা ও প্রকাশনার বিভিন্ন প্রসঙ্গে জাগো নিউজের মুখোমুখি হয়েছেন প্রকাশক নাজমুল হুদা রতন। তার সাক্ষাৎকার নিয়েছেন মিজানুর রহমান মিথুন

Advertisement

জাগো নিউজ: এবারের বইমেলা নিয়ে আপনার মতামত জানতে চাই-

নাজমুল হুদা রতন: অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৯-এর আয়োজন সুন্দর হয়েছে। এবার উদ্যানের উত্তর দিক খোলা থাকায় দৃষ্টিনন্দন হয়েছে।

জাগো নিউজ: বইমেলায় আপনার প্রকাশনা সংস্থা ‘সাহস’-এর আয়োজন সম্পর্কে বলুন-

Advertisement

নাজমুল হুদা রতন: সাহস মানে সাবলম্বী হব সবাই। সাহস ব্যক্তিগত উদ্যোগে গড়ে তোলা আর্থসামাজিক প্রতিষ্ঠান। সাহস-এর রয়েছে স্কুল, লাইব্রেরি, পাবলিকেশন্স। ২০১০ সালের বইমেলায় ১৫টি বই নিয়ে অংশগ্রহণের মাধ্যমে সাহস পাবলিকেশন্স-এর যাত্রা শুরু। এযাবৎ প্রায় ২০০ বই প্রকাশ করেছি আমরা। সৃজনশীল পুস্তক প্রকাশের মাধ্যমে মননশীল জাতি গঠনে ভূমিকা রাখার লক্ষে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সাহস পাবলিকেশন্স।

জাগো নিউজ: বইমেলা আরও সুন্দর করতে বাংলা একডেমি কর্তৃপক্ষের প্রতি কি আপনার কোনো পরামর্শ আছে?

নাজমুল হুদা রতন: বইমেলাকে আরো সুন্দর ও নান্দনিক করতে হলে স্টল বিন্যাসে আমূল পরিবর্তন আনতে হবে। সেজন্য প্রথমেই প্যাভিলিয়নের ভাবনা থেকে বেরিয়ে আসতে হবে। প্যাভিলিয়নের কারণে পুরো মেলার স্টলবিন্যাস পদে পদে বাধাগ্রস্ত হচ্ছে। মেলায় ঢুকে পাঠক যাতে খুব সহজে সব স্টল খুঁজে নিতে পারে সেভাবে মেলার ডিজাইন করতে হবে। সেক্ষেত্রে মেলার ডিজাইন বৃত্তাকার হলে ভালো হয়।

জাগো নিউজ: আপনার প্রকাশনা সংস্থার বইয়ের মান নিয়ে কী পাঠকরা সন্তুষ্ট?

Advertisement

নাজমুল হুদা রতন: এবারেরটা নিয়ে নবমবারের মতো আমরা অমর একুশে গ্রন্থমেলায় অংশ নিচ্ছি। প্রকাশনার হিসাবে এটি খুবই অল্প সময়। আমাদের প্রকাশনার মান কেমন তা বিচারের ভার পাঠক ও সমালোচকদের। তবে একথা বলতে পারি যে, বিগত ১০ বছরে আমরা কমপক্ষে ৫০টি মানসম্পন্ন গ্রন্থ পাঠকের সামনে উপস্থাপন করতে পেরেছি।

জাগো নিউজ: আপনার প্রকাশনা জগতে আসার গল্প যাদি অল্প করে শোনাতেন-

নাজমুল হুদা রতন: সাহিত্যের প্রতি ভালোবাসা আর বন্ধু ছড়াকার জগলুল হায়দার, এই দুই কারণে প্রকাশনা জগতে আসা। ২০০৮ সালে প্রকাশিত জগলুল হায়দারের ‘ফাংকোলো’ আমাদের প্রথম বই।

জাগো নিউজ: যে স্বপ্ন নিয়ে প্রকাশনা জগতে এসেছেন তা কতটা পূরণ হয়েছে?

নাজমুল হুদা রতন: না, না শুরুতে কোনো স্বপ্নই ছিল না। হুট করেই শুরু। আমার প্রায় সব কাজই একটা ঘোরের মধ্যে শুরু। তারপর স্বপ্নরা পাখা মেলতে থাকে। এখানেও একই কথা খাটে। তবে আমি এখন বুঝতে পারছি প্রকাশনা জগতে দীর্ঘদিন ধরে জেঁকে বসা সিন্ডিকেট উপড়ে ফেলতে না পারলে আমার স্বপ্নেরা কোনো দিন পাখা মেলে উড়তে পারবে না।

জাগো নিউজ: আপনার প্রকাশনা সংস্থা থেকে কোন ধরনের বই প্রকাশের জন্য গুরুত্ব দিচ্ছেন?

নাজমুল হুদা রতন: আমরা শিশুতোষ সাহিত্যকে প্রাধান্য দিয়ে থাকি কারণ এটাই মূল জায়গা। শিশুকে ভালো মানুষ হিসাবে গড়ে তুলতে পারলেই অনেক কিছু এমনিতেই সমাধান হয়ে যায়। পাশাপাশি প্রবন্ধের উপরও আমরা জোর দিচ্ছি।

জাগো নিউজ: নতুন যারা প্রকাশনায় আসতে চাচ্ছেন তাদের জন্য আপনার কি কোনো পরামর্শ রয়েছে?

নাজমুল হুদা রতন: নতুনদের প্রতি আমার পরামর্শ, আবেগের টানে এজগতে আসা উচিত নয়।

জাগো নিউজ: আপনি তো একজন লেখকও, তো এ মেলায় আপনার কোনো বই প্রকাশ পেয়েছে?

নাজমুল হুদা রতন: না এবার নানা কারণে লেখা শেষ করতে পারিনি বিধায় এই মেলায় আমার নতুন বই প্রকাশিত হয়নি। আগামীতে হবে।

এএ/এমকেএইচ