অর্থনীতি

সূচকের সঙ্গে সপ্তাহজুড়ে লেনদেনের পতন

গত সপ্তাহের চার কার্যদিবসের মধ্যে তিন কার্যদিবস ঊর্ধ্বমুখী ছিল শেয়ারবাজারে। এরপর গত সপ্তাহজুড়ে ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের (ডিএসই) প্রধান মূল্য সূচকের পতন হয়েছে। সেই সঙ্গে কমেছে লেনদেনের পরিমাণ। তবে বেড়েছে বাজার মূলধন।

Advertisement

সপ্তাহজুড়ে ডিএসইর প্রধান মূল্য সূচক ডিএসইএক্স কমেছে দশমিক আট শতাংশ। আর গড় লেনদেন কমেছে প্রায় ১১ শতাংশ। সেই সঙ্গে লেনদেনে অংশ নেয়া ৬৬ শতাংশ প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের দাম কমেছে। এরপরও ডিএসইর বাজার মূলধান বেড়েছে ১০ কোটি টাকা।

সপ্তাহের শেষ কার্যদিবস শেষে ডিএসইর বাজার মূলধন দাঁড়িয়েছে চার লাখ ১৫ হাজার ৬৯১ কোটি টাকা। যা তার আগের সপ্তাহের শেষ কার্যদিবসে ছিল চার লাখ ১৫ হাজার ৬৮১ কোটি টাকা। অর্থাৎ এক সপ্তাহে ডিএসইর বাজার মূলধন বেড়েছে ১০ কোটি টাকা।

এদিকে গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইর প্রধান সূচক ডিএসইএক্স কমেছে চার দশমিক ৪৬ পয়েন্ট বা দশমিক শূন্য আট শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি কমে ৬১ দশমিক ৯৬ পয়েন্ট বা এক দশমিক শূন্য ছয় শতাংশ।

Advertisement

প্রধান সূচকের পতন হলেও ডিএসইর অন্য দু’টি সূচক বেড়েছে। এর মধ্যে ডিএসই-৩০ আগের সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে তিন দশমিক ১০ পয়েন্ট বা দশমিক ১৫ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি কমে ২৭ দশমিক শূন্য এক পয়েন্ট বা এক দশমিক ৩৩ শতাংশ।

আর ডিএসই শরিয়াহ্ সূচক বেড়েছে এক দশমিক ৪৬ পয়েন্ট বা দশমিক ১১ শতাংশ। আগের সপ্তাহে এ সূচকটি কমে ১১ দশমিক ৯৬ পয়েন্ট বা দশমিক ৯০ শতাংশ।

গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে লেনদেন হওয়া ৩৪৯টি প্রতিষ্ঠানের শেয়ার ও ইউনিটের মধ্যে ৯৪টির দাম আগের সপ্তাহের তুলনায় বেড়েছে। অপরদিকে দাম কমেছে ২২৯টির এবং অপরিবর্তিত রয়েছে ২৬টির দাম।

এদিকে সপ্তাহের প্রতি কার্যদিবসে ডিএসইতে গড়ে লেনদেন হয়েছে ৭২৮ কোটি ৩৫ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে প্রতিদিন গড়ে লেনদেন হয় ৮১৫ কোটি ৬৬ লাখ টাকা। অর্থাৎ প্রতি কার্যদিবসে গড় লেনদেন কমেছে ৮৭ কোটি ৩১ লাখ টাকা বা ১০ দশমিক ৭০ শতাংশ।

Advertisement

আর গত সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে মোট লেনদেন হয়েছে দুই হাজার ৯১৩ কোটি ৪২ লাখ টাকা। আগের সপ্তাহে লেনদেন হয় চার হাজার ৭৮ কোটি ৩০ লাখ টাকা। সে হিসাবে মোট লেনদেন কমেছে এক হাজার ১৬৪ কোটি ৮৮ লাখ টাকা বা ২৮ দশমিক ৫৬ শতাংশ। একুশে ফেব্রুয়ারির কারণে গত সপ্তাহে এক কার্যদিবস কম লেনদেন হয়। এ জন্য গড় লেনদেনের তুলনায় মোট লেনদেন কমার হার বেশি।

গত সপ্তাহে মোট লেনদেনের ৮৫ দশমিক ৯৬ শতাংশই ছিল ‘এ’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের দখলে। বাকি ১১ দশমিক ৬৪ শতাংশ ‘বি’ ক্যাটাগরিভুক্ত, এক দশমিক ৩৭ শতাংশ ‘এন’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের এবং এক দশমিক শূন্য দুই শতাংশ ‘জেড’ ক্যাটাগরিভুক্ত কোম্পানির শেয়ারের।

সপ্তাহজুড়ে ডিএসইতে টাকার অঙ্কে সবচেয়ে বেশি লেনদেন হয়েছে ইউনাইটেড পাওয়ার জেনারেশনের শেয়ার। কোম্পানিটির ১৯৪ কোটি ৯৪ লাখ টাকার শেয়ার লেনদেন হয়েছে। যা সপ্তাহজুড়ে হওয়া মোট লেনদেনের ছয় দশমিক ৬৯ শতাংশ।

দ্বিতীয় স্থানে থাকা বাংলাদেশ সাবমেরিন কেবলসের শেয়ার লেনদেন হয়েছে ১৭২ কোটি ১০ লাখ টাকা, যা সপ্তাহের মোট লেনদেনের পাঁচ দশমিক ৯১ শতাংশ। ১১৭ কোটি ৭৩ টাকার শেয়ার লেনদেনে তৃতীয় স্থানে রয়েছে ফরচুন সুজ।

লেনদেনে এরপর রয়েছে- স্কয়ার ফার্মাসউটিক্যাল, মুন্নু সিরামিক, আলিফ ইন্ডাস্ট্রিজ, পেনিনসুলা চিটাগাং, গ্রামীণফোন, লিগাসি ফুটওয়্যার এবং মুন্নু জুট স্টাফলার্স।

এমএএস/এএইচ/এমকেএইচ