একদিকে ধনীদের সম্পত্তির পরিমাণ বাড়ছে আর অন্যদিকে গরীবরা আগে যেখানে ছিলেন আজও সেখানেই রয়ে গেছেন। ২০১৮ সালে ভারতে সবচেয়ে বিত্তবানদের আয় আরও বেড়েছে।
Advertisement
সাম্প্রতিক এক জরিপ অনুযায়ী, ধনীদের সম্পদ বৃদ্ধির পরিমাণ প্রতিদিন দুই হাজার ২শ কোটি টাকা। আর তাদের মধ্যে সবচেয়ে বিত্তবান এক শতাংশ মানুষের অর্থ সম্পদ বেড়েছে ৩৯ শতাংশ। জরিপ অনুযায়ী, বিত্তবান নয়জন মানুষের হাতেই রয়েছে দেশের মোট সম্পত্তির ৫০ শতাংশ।
অক্সফামের সর্বশেষ সমীক্ষায় অনুযায়ী, পুরো দেশে বিত্তবান মানুষদের সম্পদ প্রতিদিন ১২ শতাংশ হিসেবে ২ দশমিক ৫ লাখ করে বেড়ে চলেছে। আর এই সময়ের মধ্যে বিশ্বের গরিব মানুষদের সম্পদ কমেছে ১১ শতাংশ। ভারতের অর্থনীতি সম্পর্কে আরও কয়েকটি তথ্য দিয়েছে এই সমীক্ষা।
সোমবার ডাভোসে অক্সফাম তাদের সমীক্ষার এই ফলাফল প্রকাশ করেছে। সেখানে বলা হয়েছে, দেশের সবচেয়ে গরিব মানুষের সংখ্যা ১৩ কোটি ৬ লাখ। যা মোট জনসংখ্যার দশ শতাংশ। সেই ২০০৪ সাল থেকে এই অংশের মানুষরা ঋণে জর্জরিত বলে প্রতিবেদনে উল্লেখ করা হয়েছে।
Advertisement
ওই প্রতিবেদনে আরও বলা হয়েছে, দেশের মোট সম্পদের ৭৭ দশমিক ৪ শতাংশ আছে ১০ শতাংশ মানুষের হাতে। এর মধ্যে এক শতাংশ মানুষের হাতেই রয়েছে মোট সম্পদের ৫১ দশমিক ৫৩ শতাংশ সম্পদ। আর দেশের মোট সম্পদের মাত্র ৪ দশমিক ৮ শতাংশ রয়েছে ৬০ শতাংশ মানুষের হাতে।
অক্সফাম ইন্ডিয়ার প্রধান নির্বাহী অমিতাভ বেহার জানিয়েছেন, দেশের নারীরাই সবচেয়ে বেশি আর্থিক বৈষম্যের শিকার। তিনি বলেন, মধ্যবিত্ত বা নিম্নবিত্ত লোকজনের ব্যাংক অ্যাকাউন্ট পরীক্ষা করলে দেখা যাবে যে, সেখানে টাকার পরিমাণ খুবই কম। সেই টাকা দিয়েই তারা তাদের সন্তানদের শিক্ষা ও নিজের বেঁচে থাকার অবলম্বণ খুঁজছেন।
এ ধরনের বাস্তব পরিস্থিতি বিশ্বের বেশ কিছু দেশেই সৃষ্টি হয়েছে। যেখানে বড় বড় শিল্পপতি ও বিত্তবানরা লাখ লাখ টাকা তাদের বিলাসবহুল জীবনে খরচ করেন, সেখানে নিম্ববিত্তরা ছেলে-মেয়েদের পড়াশোনার খরচ জোগাতেই হিমসিম খাচ্ছেন।
অক্সফামের ওই প্রতিবেদন অনুযায়ী, গত বছর ভারতে ধনকুবেরের তালিকায় নতুন আরও ১৮ জনের নাম যুক্ত হয়েছে। অর্থাৎ বর্তমানে মোট ১১৯ জন বিত্তশালী রয়েছে ভারতে। তাদের সম্পদের পরিমাণ ২৮ লক্ষ কোটি অতিক্রম করেছে। অথচ তাদের সম্পত্তির এক অংশও যদি গরীবরা পেত তবে তাদের পুরো জীবনটাই বদলে যেত।
Advertisement
টিটিএন/এমকেএইচ