আন্তর্জাতিক

পাকিস্তানের করাচিতে একুশ উদযাপন

আজ আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস। বাংলা ভাষার স্বীকৃতি অর্জনের এই দিনটিকে বিশ্বব্যাপী স্মরণ করা হচ্ছে। এই স্বীকৃতি আর্জিত হয়েছে ৫২’র ভাষা আন্দোলনে পাকিস্তানি শাসকদের বিরুদ্ধে লড়াই করে। তবে বাংলা ভাষার অধিকারের বিরোধিতাকারী পাকিস্তানি শাসকদের উত্তরসূরিরাও ভাষা দিবস উদযাপন করছেন।

Advertisement

কলকাতার দৈনিক আনন্দবাজার পত্রিকায় এ নিয়ে একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। প্রতিবেদনে বলা হচ্ছে, ঢাকায় আন্তর্জাতিক ভাষা দিবস উদযাপন অনুষ্ঠানের কথা গোটা বিশ্ব জানে। কিন্তু পাকিস্তানে যে বাংলা পড়ানো হয় সেটা হয়তো জানা নেই অনেক বাঙালির। শুধু পড়ানোই নয় ভাষা দিবস উপলক্ষে দেশটির একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আলোচনাও হবে।

করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ের বাংলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ আবু তৈয়ব খান করাচি বিশ্ববিদ্যালয়ে একুশ উদযাপন ও ভাষা আন্দোলন নিয়ে সেই আলোচনার কথা নিশ্চিত করেছেন আনন্দবাজারকে।

আনন্দবাজারের প্রতিবেদক বিশ্ববিদ্যালয়ের ওয়েবসাইটে দেয়া ফোন নাম্বারের মাধ্যমে যোগাযোগ করেন বাংলা বিভাগের সভাপতি অধ্যাপক মোহাম্মদ আবু তৈয়ব খানের সঙ্গে। বিভাগের সভাপতি প্রথমে হিন্দিতে কথা বলা শুরু করলেও কলকাতা থেকে আনন্দবাজার শুনেই বলেন, ‘বলুন, কেমন আছেন?’

Advertisement

বাংলাদেশে স্বাধীন হওয়ার পর তৎকালীন পশ্চিম পাকিস্তানে বসবাসরত অনেক বাংলাভাষী বাংলাদেশে চলে আসেন। তবে তাদের একটা বড় অংশ অবশ্য পাকিস্তানেই থাকেন। আর পাকিস্তানে যেসব বাংলাভাষী আছে তার সিংহভাগের বাস করাচিতে।

পাকিস্তানের বাঙালি বিষয়ক কমিটির তথ্য অনুযায়ী, দেশটিতে বাংলাভাষীদের অন্তত দুইশ’ জনবসতি আছে। যার ১৩২টি করাচিতে। করাচির বাংলাভাষী সেইসব এলাকার সড়ক কিংবা দোকানে দেখা মেলে বাংলা সাইনবোর্ডের।

করাচি বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৫১ সালে। প্রতিষ্ঠার দু’বছর পর যাত্রা শুরু করে বাংলা বিভাগ। বিভাগের সভাপতি জানালেন, স্নাতক ও স্নাতকোত্তর মিলিয়ে বিভাগের মোট শিক্ষার্থী ত্রিশ জনের মতো। প্রথমে চারজন শিক্ষক থাকলে একজন অবসর নিয়েছেন। বিভাগে এমফিল ও পিএইচডি’র মতো গবেষণা যাতে শুরু করা যায় সেই চেষ্টা চলছে বলে জানান তিনি।

Advertisement

বিভাগটিতে স্নাতক ও স্নাতকোত্তর পাঠদান ছাড়াও বাংলা ভাষার সার্টিফিকেট কোর্স করার ব্যবস্থা রয়েছে। সভাপতি জানালেন, বাংলাদেশ থেকে শিক্ষকদের যাতায়াত রয়েছে বিভাগে। বিভাগের পাঠ্যক্রমে পড়ানো হয় বিদ্যাসাগর, রবীন্দ্রনাথ ও শরৎচন্দ্র ছাড়াও রয়েছেন বুদ্ধদেব বসুর মতো বাংলার বড় সব সাহিত্যিককে।

এসএ/পিআর