খেলাধুলা

চকবাজার ট্র্যাজেডি : তামিম-মোস্তাফিজদের শোক

ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডে এখন মৃত্যুপুরি পুরান ঢাকার চকবাজারের চৌহাট্টি এলাকা। ২১ ফেব্রুয়ারি ভাষা শহীদ দিবসের শোককে হাজারগুণে বাড়িয়ে দিলো গতকাল রাতে লাগা আগুনের লেলিহান শিখা। যে শিখায় এখনও পর্যন্ত প্রাণ হারিয়েছে সত্তরের বেশি মানুষ। ভয়াবহ এই ঘটনায় শুধু চকবাজারই নয়, শোকে মুহ্যমান সারাদেশের মানুষ। শোকের ঢেউ গিয়ে লেগেছে নিউজিল্যান্ডে অবস্থানরত বাংলাদেশ দলের ক্রিকেটারদের মাঝেও।

Advertisement

নিউজিল্যান্ডে ইতিমধ্যেই স্বাগতিকদের সঙ্গে ৩ ম্যাচের ওয়ানডে সিরিজ শেষ করে ফেলেছে বাংলাদেশ। এখন অপেক্ষা টেস্ট সিরিজ শুরুর। তিন ম্যাচের টেস্ট সিরিজ শুরুর কথা ২৮ ফেব্রুয়ারি থেকে। সে জন্যই প্রস্তুতি নিচ্ছিলেন তারা। কিন্তু আজ ভোর হতে না হতেই শুনলেন নিজের দেশে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ডের কথা।

সেই খবর শুনেই নিজেকে থামিয়ে রাখতে পারলেন না। ওপেনার তামিম ইকবাল ফেসবুকে লিখেছেন, ‘চকবাজারে নিহত-আহত ব্যক্তিদের জন্য প্রার্থনা।’ সে সঙ্গে তিনি নিহত মানুষের স্বজনদের শোক সইবার শক্তি দিতে আর আহত ব্যক্তিদের দ্রুত আরোগ্য লাভের জন্য প্রার্থণা করেছেন।

চকবাজারে অগ্নিকাণ্ডের খবর শোনার পর থেকে মোস্তাফিজও শোকেস্তব্ধ। সেখান থেকেই খোঁজ-খবর রাখছেন নিয়মিত। শোকে আচ্ছন্ন মোস্তাফিজ বলেন, ‘খবরটা শোনার পর থেকেই খুব খারাপ লাগছে, এত মানুষ মারা গেল! নিহতদের আত্মার মাগফিরাত কামনা করি আর যারা হাসপাতালে, তাদের জন্য দোয়া করি। এমন মর্মান্তিক দুর্ঘটনা থেকে আল্লাহ যেন আমাদের রক্ষা করেন, সে দোয়াও করি।’

Advertisement

কিউইদের বিপক্ষে শেষ ম্যাচে নিজের প্রথম সেঞ্চুরি পাওয়ার পর সাব্বির রহমানের মনটা ফুরফুরে থাকার কথা। কিন্তু চকবাজারের ঘটনা শোনার পর তারও মন বিষাদে আচ্ছন্ন হয়ে পড়েছে। তিনি বলেন, ‘এতগুলো মানুষ মারা গেল, খুব খারাপ লাগছে! যারা আহত অবস্থায় হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন, দোয়া করি তারা যেন দ্রুত সুস্থ হয়ে ওঠেন। সৃষ্টিকর্তা আমাদের এ ধরনের দুর্ঘটনা থেকে রক্ষা করুন।’

বিপিএলে দুর্দান্ত বোলিং করে নিউজিল্যান্ড সফরের দলে জায়গা পেয়েছিলেন তাসকিন আহমেদ। কিন্তু ইনজুরির কারণে শেষ মুহূর্তে আর যেতে পারেননি। তিনি আহবান করেছেন, আহতদের সাহায্যে এগিয়ে আসতে, ‘এই মুহূর্তে যারা ঢাকা কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার বা এর আশপাশে অবস্থান করছেন তারা দয়া করে ঢাকা মেডিকেলে চলে যান। চকবাজার অগ্নিকাণ্ডে আহতদের প্রচুর রক্ত লাগছে। চলুন রক্ত দিয়ে অর্জিত এই ভাষা দিবসে রক্ত দিয়ে জীবন বাঁচাই।’

আইএইচএস/জেআইএম

Advertisement