কাশ্মীরের পুলওয়ামায় সন্ত্রাসী হামলায় ৪৫ জন ভারতীয় সিআরপিএফ সদস্যের মৃত্যুতে ভারত-পাকিস্তানের মধ্যে শুধু রাজনৈতিক উত্তেজনাই বাড়েনি, ক্রিকেট মাঠেও এর করুণ প্রভাব পড়তে যাচ্ছে। ভারতীয়দের পক্ষ থেকে জোর দাবি তোলা হচ্ছে, পাকিস্তানের বিপক্ষে বিশ্বকাপে ভারতের ম্যাচ বাতিল করা হোক। ভারতের রাজনীতিবীদ থেকে শুরু করে সাধারণ মানুষরা পর্যন্ত বলছেন, পাকিস্তানের সঙ্গে আর কোনো ক্রিকেট সম্পর্ক নয়।
Advertisement
এমন পরিস্থিতিতে বিশ্বকাপ শুরুর ১০০ দিন আগে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়েও গভীর চিন্তায় পড়ে গেছে খোদ আইসিসি। যদিও আইসিসির প্রধান নির্বাহী ডেভ রিচার্ডসন বিশ্বকাপে সূচি পরিবর্তনের কোনও সম্ভাবনা নেই বলে দাবি করেছেন। তবে বাইশ গজে সন্ত্রাসী হামলার রেশ যাতে না পড়ে সে বিষয়ে তৎপর এখন ক্রিকেটের নিয়ন্ত্রক সংস্থা।
বিশ্বকাপে পাকিস্তানের বিপক্ষে ম্যাচ নিয়ে যদিও এখনও পর্যন্ত আইসিসি’র দ্বারস্থ হয়নি ভারতীয় ক্রিকেট বোর্ড বিসিসিআই। তবে আগামী ২৭ ফেব্রুয়ারি দুবাইয়ে শুরু হতে চলা আইসিসির গভর্নিং কাউন্সিলের মিটিংয়ে বিশ্বকাপে ভারত-পাক ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে দেখা হবে।
যদিও আইসিসি এখনও পর্যন্ত আত্মবিশ্বাসী, ক্রিকেট মাঠে রাজনৈতিক বিষয়টির প্রভাব পড়বে না এবং আগামী ১৬ জুন ম্যানেচেস্টারে বিশ্বকাপে ঠিকই ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ অনুষ্ঠিত হবে। বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ নিয়ে মানুষের আগ্রহ কতটা তা নিরূপণ করা যায়, টিকিট বিক্রির অবস্থা দেখে।
Advertisement
আইসিসি ভারত-পাকিস্তান ম্যাচের টিকিটের জন্য প্রায় ৫ লাখ আবেদন পেয়েছে। এমনকি ১৪ জুলাই লর্ডসে আইসিসি বিশ্বকাপের ফাইনাল নিয়েও এতটা সাড়া পড়েনি। কারণ, ফাইনালের টিকিটের জন্য আবেদন হয়েছে আড়াই লাখের মত।
তবে বিশ্বকাপের এই ম্যাচটির ভবিষ্যৎ কি এখন এটা নিয়ে কেউই কিছু বলতে পারছে না। আইসিসিও না। তারা যদিও চেষ্টা করছে, দুই দেশের মধ্যে বিষয়টার সমাধান হয়ে যাক এবং ম্যাচটি সুন্দরভাবেই আয়োজন হোক।
প্রসঙ্গতঃ আগামী ৩০মে ইংল্যান্ড ও ওয়েলসের মাটিতে শুরু হচ্ছে দ্বাদশ ক্রিকেট বিশ্বকাপের আসর। সূচি অনুযায়ী ১৬ জুন ম্যানচেস্টারে মুখোমুখি হওয়ার কথা ভারত-পাকিস্তানের লড়াই।
আইসিসির প্রধান নির্বাহী ডেভ রিচার্ডসন বলেন, ‘কাশ্মীরে সন্ত্রাসী হামলায় ক্ষতিগ্রস্থদের জন্য আমাদের সহানুভূতি রয়েছে। আইসিসি পরিবর্তিত পরিস্থিতির উপর নজর রেখে চলেছে; কিন্তু বিশ্বকাপে ভারত-পাকিস্তান ম্যাচ না-হওয়ার কোনও কারণ নেই। স্পোর্টস, বিশেষ করে ক্রিকেট মানুষদের ইউনিটি করার ক্ষমতা রাখে।’
Advertisement
আইএইচএস/জেআইএম