রিয়াল মাদ্রিদে থাকতেই ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর কাছে অ্যাটলিকো মাদ্রিদ ছিল এক অপার রহস্যের নাম। এই দলটিকে হারাতেই পারতো না তার দল। যদিও চ্যাম্পিয়ন্স লিগের এক ফাইনালে অ্যাটলেটিকোকে হারিয়েই চ্যাম্পিয়ন হয়েছিল রোনালদোর রিয়াল।
Advertisement
এবার রোনালদো ইতালিয়ান ক্লাব জুভেন্টাসে। তবুও, অ্যাটলেটিকো গেরো খুলতে পারলেন না তিনি। চ্যাম্পিয়ন্স লিগে অ্যাটলেটিকোর মাঠে এসে ২-০ গোলে পরাজয় বরণ করে নিতে হলো রোনালদো এবং তার ক্লাব জুভেন্টাসকে।
রিয়াল মাদ্রিদ ছাড়ার পর জুভেন্টাসের হয়ে এই প্রথম মাদ্রিদে ফিরে এলেন ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো। তবে মাদ্রিদবাসী তাকে এই ফেরায় স্বাগত জানালো না। ২-০ গোলের পরাজয়ই উপহার দিলো। যদিও জুভেন্টাসের বিপক্ষে অ্যাটলেটিকোর এই জয়ে ভিডিও অ্যাসিস্ট্যান্ট রেফারির (ভিএআর) ভূমিকা তুমুল বিতর্কের জন্ম দিয়েছে।
চ্যাম্পিয়ন্স লিগের ইতিহাসে এই প্রথম ভিএআর ব্যবহার করা হচ্ছে। কিন্তু শুরু থেকেই তুমুল বিতর্কের জন্ম দিয়েছে ভিডিও অ্যাসিন্ট্যান্ট রেফারির সিদ্ধান্ত। এবারও অ্যাটলেটিকো আর জুভেন্টাসের ম্যাচটি যখন গোলশূন্য ড্র’য়ের দিকে এগুচ্ছে, ঠিক তখনই ভিডিও অ্যাসিন্ট্যান্ট রেফারির বিতর্কিত সিদ্ধান্তে ২-০ গোলের জয় পেয়ে যায় অ্যাটলেটিকো।
Advertisement
অ্যাটলেটিকো-জুভেন্টাস, দুই দলই বিখ্যাত ডিফেন্সিভ খেলা নিয়ে। সে কারণে গোলশূন্য ড্রয়ের দিকেই এগুচ্ছিল খেলা। তবে তখনও খেলার বাকি ১২ মিনিট। তখনই গোল করে বসেন হোসে গিমেনেজ। ৫ মিনিট পর গোল করে বসেন দিয়েগো গোডিনও।
খেলার শুরুর দিকে ৩০ মিটার দুর থেকে ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদোর নেয়া দুর্দান্ত ফ্রি-কিক ঝাঁপিয়ে পড়ে ঠেকিয়ে দেন অ্যাটলেটিকোর গোলরক্ষক জ্যান ও’ব্ল্যাক। ২৮ মিনিটে পেনাল্টি পেয়েছিল অ্যাটলেটিকো। জুভেন্টাসের ম্যাটিয়া ডি স্কিগলিও ডি বক্সের ভেতর দিয়েগো কস্তাকে ট্যাকল করেন। যদিও রেফারি প্রথমে দিয়েছিলেন ফ্রি-কিকের সিদ্ধান্ত। কিন্তু পরে ভিএআরে দেখা গেলো সেটা পেনাল্টি। আন্তোনিও গ্রিজম্যান স্পট কিক নিলেও সেটা থেকে জুভেন্টাসকে রক্ষা করেন দলটির গোলরক্ষক।
৪৯ মিনিটে গোলের দারুণ একটি সুযোগ পেয়েছিলেন কস্তা। গ্রিজম্যানের দারুণ এক পাস থেকে বল পেয়ে গোলরক্ষককে একা পেয়েও তিনি বল মেরে দেন বাইরে। তার একটু পরই গ্রিজম্যানের নিশ্চিত গোল হওয়া শট থেকে জুভেন্টাসকে রক্ষা করেন গোলরক্ষক।
দিয়েগো কস্তাকে বসিয়ে রেখে শেষ মুহূর্তে অ্যাটলেটিকো কোচ মাঠে নামান আলভারো মোরাতাকে। ম্যাচের ৭১ মিনিটে ভিএআরের সিদ্ধান্তে আলভারো মোরাতার হেডকে বাতিল করে দেন রেফারি। কারণ, তখন মোরাতা দাঁড়িয়েছিলেন ডিফেন্ডার চিয়েল্লিনির ঠিক পেছনে।
Advertisement
৭ মিনিট পরই গোল করেন গিমেনেজ। কর্নার কিক থেকে ভেসে আসা বলটি ক্লিয়ার করতে পারেনি জুভ ডিফেন্ডাররা। হেড করেন গিমেনেজ এবং বল জড়িয়ে যায় জুভেন্টাসের জালে। সফরকারীরা লিওনার্দো বোনুচ্চিকে ফাউল করার অভিযোগে ভিএআর নিতে বললেও রেফারি তাতে কান দেননি। বিতর্ক তৈরি হয় সেখান থেকেই।
৫ মিনিট পরই দিয়েগো গোডিন গোল করে অ্যাটলেটিকোর জয় সুনিশ্চিত করেন। অন্যদিকে শেষ মুহূর্তে একটি দারুণ ফ্রি-কিক পেয়েও অ্যাটলেটিকোর জালে বল জড়াতে পারলেন না ক্রিশ্চিয়ানো রোনালদো।
আইএইচএস/জেআইএম