রাজবাড়ীর বেশির ভাগ শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে নেই শহীদ মিনার। জেলার ৭৪৭টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের মধ্যে শহীদ মিনার রয়েছে মাত্র ১৪৯টি শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের অনেক শিক্ষার্থী এখনও জানে না- কী কারণে শহীদ মিনার তৈরি করা হয়।
Advertisement
জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা হোসনে ইয়াসমিন করিমি জানান, রাজবাড়ীতে ৪৮২টি প্রাথমিক বিদ্যালয় রয়েছে। এর মধ্যে ৪২টি বিদ্যালয়ে শহীদ মিনার রয়েছে।
তিনি বলেন, শহীদ মিনার তৈরির কোনো বরাদ্দ নেই। শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোকে নিজ উদ্দ্যোগে শহীদ মিনার তৈরির জন্য উৎসাহিত করা হচ্ছে।
জেলা শিক্ষা কর্মকর্তা সামছুন্নাহর চৌধুরী জানান, জেলার ১৪৮টি মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের মধ্যে ৯৩টিতে শহীদ মিনার রয়েছে। এছাড়াও ৭৪টি মাদরাসার মধ্যে একটিতে এবং ৪৩টি কলেজের মধ্যে ১৩টিতে রয়েছে শহীদ মিনার। এসব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার না থাকার বিষয়ে তিনি কিছুই জানেন না বলেও জানান।
Advertisement
রাজবাড়ীর ২১শে পদকপ্রাপ্ত শিল্পী মনছুরুল করিম বলেন, আমাদের প্রথম পরিচয় আমরা বাঙালি, আমাদের মায়ের ভাষা বাংলা। আমরা যাই বলি না কেন, ভাষার বাইরে গিয়ে কোনো কিছু চিন্তা করতে পারি না। ভাষার জন্য যারা শহীদ হয়েছেন এবং যারা আত্মত্যাগ করেছেন তাদের সম্মানে ১৯৫২ সালের পর থেকে শহীদ মিনারের পাদদেশে তাদের আত্মার শান্তি কামনায় শ্রদ্ধা নিবেদন করছি। দেশে যতগুলি শিক্ষা প্রতিষ্ঠান আছে বাঙালি হিসেবে আমরা দেশের ওই সব শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অক্ষরের সঙ্গে পরিচিত হই। এ সমস্ত সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার থাকা অত্যান্ত জরুরি
তিনি আরও বলেন, যে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে শহীদ মিনার নেই, সে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে সরকারি উদ্দ্যোগে শহীদ মিনার তৈরি করা উচিত। এ শহীদ মিনার থেকেই আমাদের আগামী প্রজন্ম ভাষা আন্দোলন ও ভাষা শহীদদের সম্পর্কে জানতে পারবে।
রুবেলুর রহমান/আরএআর/জেআইএম
Advertisement