রাজনীতি

জামায়াতের পাশাপাশি বিএনপিরও ক্ষমা চাওয়া উচিত : তথ্যমন্ত্রী

বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামীর ক্ষমা চাওয়ার পাশাপাশি বিএনপিকেও ক্ষমা চাওয়া উচিত বলে মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগের প্রচার সম্পাদক ও তথ্যমন্ত্রী হাছান মাহমুদ।

Advertisement

বুধবার জাতীয় জাদুঘরের মিলনায়তনে ‘গণতন্ত্রের অভিযাত্রায় শেখ হাসিনা’ বইয়ের মোড়ক উন্মোচন অনুষ্ঠানে তিনি এ মন্তব্য করেন।

হাছান মাহমুদ বলেন, জামায়াতে ইসলামী দলগতভাবে ক্ষমা চাইলেও মুক্তিযুদ্ধের বিরোধিতা করা, গণহত্যা- অগ্নি সংযোগ ও নারী নির্যাতন থেকে দায়মুক্তি পেতে পারে না। দায়মুক্তি পাবে না। তারা এতদিন ধরে বাংলাদেশে যে রাজনীতি করেছে। জামায়াতে ইসলামীকে রাজনৈতিক আশ্রয়-প্রশ্রয় দেয়া, তাদের সঙ্গে জোট গঠন করে একসঙ্গে নির্বাচন করা ও সরকার গঠন করার জন্য বিএনপিও একই অপরাধে অপরাধী। বিএনপিও দায়মুক্তি পেতে পারে না। জামায়াতে ইসলামীর ক্ষমা চাওয়ার পাশাপাশি বিএনপিকেও ক্ষমা চাওয়া উচিত।

তথ্যমন্ত্রী বলেন, গত কয়েকদিন ধরে দেখতে পাচ্ছি যে জামায়াতে ইসলামীর ভেতর থেকে দাবি উঠে এসেছে ক্ষমা চাওয়ার। তাদের কয়েকজন নেতা ঘোষণা দিয়ে পদত্যাগ করেছেন। আমি মনে করি, এই পদত্যাগের ঘোষণা বা তাদের মধ্য থেকে ক্ষমা চাওয়ার যে কথাবার্তা বলা হচ্ছে এগুলো দেশি-বিদেশি চাপ মুক্ত হওয়ার একটি কৌশল।

Advertisement

আওয়ামী লীগের এই নেতা বলেন, আজকে শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে পৃথিবীর সব দেশ বাংলাদেশের প্রশংসায় পঞ্চমুখ। আজকে শেখ হাসিনার কারণে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী বলতে বাধ্য হয় বাংলাদেশে সব সূচকে পাকিস্তানকে পেছনে ফেলে গেছে। অথচ আমাদের দেশের কিছু রাজনীতিক দল দেশের অগ্রযাত্রাকে টেনে ধরার চেষ্টা করছে। দেশের বিরুদ্ধে ষড়যন্ত্রে লিপ্ত, যারা বাংলাদেশের অগ্রযাত্রা রুখে দিতে চায়, তারা নানামুখী ষড়যন্ত্র করছে।

প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার হাত ধরেই বন্দি গণতন্ত্র মুক্তি পেয়েছে মন্তব্য করে হাছান মাহমুদ বলেন, তার হাত ধরেই দেশের মানুষ ভোটের অধিকার ফিরে পেয়েছে। তার হাত ধরেই মুক্তচিন্তা মুক্তি পেয়েছে। তার হাত ধরেই বাংলাদেশের অগ্রগতি। শেখ হাসিনা শুধু অসাম্প্রদায়িকতার প্রতীক নয়, মানবতার প্রতীক। তিনি ১১ লাখ রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছেন।

গোলাম রব্বানী বাবলুর সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে আরও উপস্থিত ছিলেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. আখতারুজ্জামান, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ শাখা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক শাহে আলম মুরাদ, প্রচার সম্পাদক আখতার হোসেন বইয়ের লেখক সুজন হালদার প্রমুখ।

এইউএ/জেডএ/জেআইএম

Advertisement