জাতীয়

বর্তমানে গণপরিবহন খাতে অরাজকতা চলছে

বিশিষ্ট কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেছেন, গণপরিবহনের সাথে আমাদের অর্থনৈতিক সম্পর্ক জড়িত। গণপরিবহন ক্ষতিগ্রস্ত হলে অর্থনৈতিক ক্ষতি হবে। বর্তমানে দেশে গণপরিবহন খাতে অরাজকতা চলছে। গণপরিবহনের এই অরাজকতার মূল কারণ দুর্নীতি।বৃহস্পতিবার দুপুরে জাতীয় প্রেসক্লাবে বাংলাদেশ যাত্রী কল্যাণ সমিতি আয়োজিত ‘গণপরিবহন সংকট : যাত্রী দুর্ভোগ উত্তরণের উপায়’ শীর্ষক এক গোলটেবিল বৈঠকে তিনি এসব কথা বলেন।আবুল মকসুদ বলেন, দুর্নীতি কমে আসলে গণপরিবহনের অরাজকতা কমবে। গণপরিবহন ক্ষতিগ্রস্ত হলে অর্থনৈতিক ক্ষতি হবে তাই সমন্বিত উদ্যোগ গ্রহণ করে এর উন্নয়ন ঘটাতে হবে। সমন্বিত উদ্যোগ ছাড়া এই উন্নয়ন সম্ভব নয়। এজন্য বিশেষ সেল গঠন করতে হবে।

Advertisement

তিনি বলেন, ‘বর্তমানে যাত্রীরদেরকে অনেক সমস্যা পোহাতে হচ্ছে। গণপরিবহন সংকটের কারণে নির্দিষ্ট জায়গায় যেতে অনেকক্ষণ অপেক্ষা করতে হচ্ছে। তাই যাত্রীরা কি পরিমাণ ভুক্তভোগী সেটি সরকারকে শনাক্ত করতে হবে। শনাক্ত করে এর সমস্যা সমাধানে ব্যবস্থা গ্রহণ করতে হবে।’

এ সময় সিপিবির কেন্দ্রীয় নির্বাহী কমিটির সদস্য রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘দেশে নিরাপদ, জনবান্ধব এবং পর্যাপ্ত গণপরিবহনের অভাব রয়েছে। দুর্নীতির কারণে বিআরটিসি পরিবহন চলতে পারছে না। মালিক শ্রমিক সিন্ডিকেট বিআরটিসি পরিবহন চলতে দেয় না। শুধু পরিবহনের মানোন্নয়ন করলেই হবে না, সেই সঙ্গে চালক-শ্রমিকদের মানবিক উন্নয়ন করতে হবে। তা না হলে সব প্রচেষ্টা ব্যর্থ হবে।’

এফবিবিসিআই এর পরিচালক মো. আবদুল হক বলেন, ‘বিআরটিসিতে ভলভো বাসসহ অনেক ভাল বাস আনা হয়েছিল। কিন্তু ঐ বাসগুলো ৩-৪ বছরও চলতে পারেনি। জাপানে সেটা ৪০ বছর চলে।’

Advertisement

তিনি বলেন, ‘সবার আগে ট্রাফিক সিস্টেম ঠিক করতে না পারলে মন্ত্রী-মিনিস্টার রাস্তায় দাঁড়িয়ে বাস, ট্রাক, মোটরসাইকেলকে শুধু ফাইন করে কোন সমাধান হবে না।’

আয়োজক সংগঠনের চেয়ারম্যান শরিফ রফিকুজ্জামানের সভাপতিত্বে গোলটেবিল বৈঠকে আরো উপস্থিত ছিলেন গণমাধ্যম ব্যক্তিত্ব ড. মোহাম্মদ জাহাঙ্গীর, গণপরিবহন বিশেষজ্ঞ ড. সালেহ উদ্দিন আহমেদ, বাসদের সদস্য রাজেকুজ্জামান রতন প্রমুখ।

আএসএস/এসএইচএস/এমআরআই

Advertisement