পরিপূর্ণ দ্বীনদারি ছাড়া যেমন স্বচ্ছ ও নিষ্কলুষ জীবন গড়া সম্ভব নয় আবার পরিপূর্ণ দ্বীনদারির সঙ্গে জীবন রাঙাতে প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের হাদিসের ওপর আমলের বিকল্প নেই। তাই প্রিয় নবি সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লামের অমূল্য নসিহত অনুযায়ী জীবন পরিচালনা করা আবশ্যক।
Advertisement
ইমাম আবু দাউদ রাহমাতুল্লাহি আলাইহি তার বিখ্যাতগ্রন্থ আবু দাউদে ৪টি হাদিস তুলে ধরেছেন। যে ৪টি হাদিসের ওপর আমল করলেই পরিপূর্ণ দ্বীনদার হিসেবে নিজেকে তৈরি করা সম্ভব। তাহলো-
> ‘সব কাজই মানুষের নিয়তের ওপর নির্ভরশীল।’ তাই প্রত্যেকের উচিত প্রতিটি কাজের শুরুতে নিয়তকে পরিশুদ্ধ করা।
> ‘(কোনো) ব্যক্তির (জন্য) ইসলামের সৌন্দর্য হচ্ছে- যা কিছু (কথা ও কাজ) অর্থহীন তা বর্জন করা।’ যারা দুনিয়ার জীবনে অর্থহীন কাজ বর্জনে সক্ষম, তারা দুনিয়া ও পরকালে সফলতা লাভেও সক্ষম।
Advertisement
> ‘কোনো মুমিন ব্যক্তিই প্রকৃত মুমিন হতে পারবে না যতক্ষণ পর্যন্ত সে তার ভাইয়ের জন্য এমন বস্তু পছন্দ না করে, যা সে তার নিজের জন্য পছন্দ করে।’ অর্থাৎ দুনিয়ার জীবনের প্রতিটি কাজে নিজের জন্য যা পছন্দ, নিজের সঙ্গীদের জন্যও তা পছন্দ করা।
> ‘হালাল ও হারাম সুস্পষ্ট। কিন্তু এ দুটির বাইরেও কিছু সন্দেহজনক বস্তু আছে…।’ সুতরাং দুনিয়ার জীবনে হালালকে হালাল এবং হারামকে হারাম হিসেবে মেনে নেয়ার পাশাপাশি সন্দেহজনক বিষয়গুলো ছেড়ে দেয়াই উত্তম। তবেই প্রকৃত দ্বীনদার হওয়া সম্ভব।
আরও পড়ুন > অবৈধ সম্পদ দান সম্পর্কে যা বলেছেন বিশ্বনবি
আল্লাহ তাআলা মুসলিম উম্মাহকে দুনিয়াতে উল্লেখিত ৪টি হাদিসের ওপর যথাযথ আমল করার মাধ্যমে সঠিক দ্বীনদার হিসেবে নিজেদের তৈরির তাওফিক দান করুন। পরকালের চিরস্থায়ী জীবনে সফল হওয়ার তাওফিক দান করুন। আমিন।
Advertisement
এমএমএস/এমকেএইচ