জাতীয়

দুর্গন্ধে হাঁসফাঁস পথচারীরা

তীব্র নয়, মৃদু তাপপ্রবাহ চলছে। তবে বেশ উত্তপ্ত রাজধানী। এর মধ্যে দুর্গন্ধ। জীবন যেন হাঁসফাঁস নগরীর গুলশান লিংক রোডের পথচারীদের। কয়েকদিনের পচা গন্ধে প্রায় দেড় কিলোমিটার পথটি দিয়ে চলা দায়। তবে গুলশান-১, মহাখালী, আমতলী থেকে বাড্ডায় আসার একমাত্র পথ এটি। কয়েকদিন ধরে এই গন্ধ চললেও যেন দেখার কেউ নেই। গুলশান লেক থেকে বাতাসে এই গন্ধ ছড়িয়ে পড়ছে লেক সংশ্লিষ্ট বাড়িগুলোতে। ফলে লেকের দু’পাড়ের বাসিন্দারাও অতিষ্ট। কথা হয়, লিংক রোডে গুলশান পাড়ে নিয়মিত দায়িত্ব পালনকারী আর্ম পুলিশের দু’জন সদস্যের সঙ্গে। তারা দু’জন বলেন, এমনিতে কিছু দুর্গন্ধ সহ্য করেই লেকের এই চেকপোস্টে আমরা দায়িত্ব পালন করি। কিন্তু গত কয়েকদিন ধরে এখানে থাকা কঠিন হয়ে পড়েছে। আমাদের অনেকেই এখন এই চেক পোস্টে আসতে চাননা।সরেজমিনে দেখা গেছে, লেকের উপর দিয়ে বাড্ডা থেকে গুলশান-১ পর্যন্ত যে রাস্তাটুকু রয়েছে, সেটি দিয়ে চলাচল করা কঠিন। পথচারীরা নাক ধরে, নিশ্বাস বন্ধ বরে কোনভাবে রেহাই পাবার চেষ্টা করছেন। তবে এখানেই শেষ হয়না। রিকশা আর অতিরিক্ত যানবাহনের চাপে বেশির ভাগ সময়ই যানজট লেগে থাকে লেকের এই অংশটুকুতে। তাই দুর্গন্ধের মধ্যেই সবাইকে বসে থাকতে হয় গাড়ি কিংবা রিকশাতে। একজন পথচারী তামান্না। যিনি বাড্ডা থেকে গুলশানের একটি ইংলিশ মিডিয়াম স্কুলে মেয়েকে নিয়ে যান প্রতিদিন। তামান্না বলেন, এতো দুর্গন্ধের মধ্যে চলাচল করা কঠিন। আমার মেয়ে দুর্গন্ধ পেরিয়ে যেতে হবে বলে স্কুলে যেতে চায় না।লেকের সংলগ্ন একটি বাড়িতে বাড়া থাকেন ব্যবসায়ী তানভীর রহমান। তিনি জাগো নিউজকে বলেন, এই দুর্গন্ধ চলতে থাকলে বাসা ছেড়ে দিতে হবে। এসএ/এসএইচএস

Advertisement