ধূমপানের মারাত্মক ক্ষতিকর নিয়ে সচেতনতামূলক প্রচারণায় ‘আত্মজিজ্ঞাসা’ নামের নতুন একটি টিভি স্পট (বিজ্ঞাপনচিত্র) উদ্বোধন করা হয়েছে। মঙ্গলবার সচিবালয়ে স্বাস্থ্যসেবা বিভাগের অতিরিক্ত সচিব মো. হাবিবুর রহমান খান এই টিভি স্পট উদ্বোধন করেন।
Advertisement
ধূমপানের ক্ষতিকর দিক সম্পর্কে মানুষকে সচেতন করতে জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেল, স্বাস্থ্য অধিদফতরের অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ কর্মসূচি এবং আন্তর্জাতিক বেসরকারি সংস্থা ভাইটাল স্ট্র্যাটেজিস-এর যৌথ উদ্যোগে এই টিভি স্পটটি নির্মিত হয়েছে। এর দৈর্ঘ্য ৩০ সেকেন্ড।
‘আত্মজিজ্ঞাসা’ নামের এই স্পটটি আগামী ৬ সপ্তাহ ধরে বাংলাদেশ টেলিভিশনসহ দেশের প্রধান প্রধান সব কয়টি চ্যানেলে প্রায় ৫ হাজার বার প্রচারিত হবে বলে অনুষ্ঠানে জানানো হয়।
এই টিভি স্পটে দেখা যায়, একজন কর্মজীবী মানুষ প্যাকেট থেকে একটি সিগারেট বের করতে গিয়ে দ্বিধাগ্রস্ত হন এবং নিজেকেই প্রশ্ন করেন- এই সিগারেট খেলে আমার কী ক্ষতি হবে? তার মনে বিভিন্ন আশঙ্কা দেখা দেয়- স্ট্রোকে চলৎশক্তি হারিয়ে পরিবারের উপর তিনি বোঝা হয়ে যাবেন না তো? ফুসফুস ক্যান্সার হয় যদি, কিংবা হার্ট অ্যাটাক?
Advertisement
শেষে তিনি সবার কাছে আবেদন রাখেন, এরপর থেকে সিগারেট বা বিড়ি ধরানোর আগে সবাই যেন নিজেকে একবার হলেও জিজ্ঞাসা করেন- এই সিগারেট বা বিড়ি খেলে আমার কী ক্ষতি হবে।
টিভি স্পটে ধূমপানের ভয়াবহ ক্ষতিকর দিকগুলো তুলে ধরার পাশাপাশি পাবলিক প্লেস ও পাবলিক পরিবহন ধূমপানমুক্ত রাখতে সবাইকে সক্রিয় হওয়ার আহ্বান জানানো হয়েছে।
অতিরিক্ত সচিব বলেন, ‘২০১৭ সালে পরিচালিত গ্লোবাল অ্যাডাল্ট টোব্যাকো সার্ভের (গ্যাটস) তথ্যে দেখা গেছে, বাংলাদেশে তামাকের ব্যবহার ক্রমশ কমে আসছে। ২০০৯ সালে ৪৩ দশমিক ৩ শতাংশ মানুষ তামাক ব্যবহার করত, ২০১৭ সালে তা ৪৩ দশমিক ৩ শতাংশে নেমে এসেছে।’
অনুষ্ঠানে ভাইটাল স্ট্র্যাটেজিসের হেড অব প্রোগ্রামস শফিকুল ইসলাম বলেন, ‘তামাকের বহুমাত্রিক ক্ষতি ও তামাক নিয়ন্ত্রণ আইন সম্পর্কে গণমাধ্যমে সচেতনতামূলক কর্মসূচি বছরব্যাপী আয়োজন করা দরকার। এতে আইনের বাস্তবায়ন গতিশীল হবে এবং মানুষের মধ্যে তামাক গ্রহণের প্রবণতা কমবে। এ জন্য স্বাস্থ্য উন্নয়ন সারচার্জ তহবিলের আওতায় সরকারের দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনায় এই বিষয়টি অন্তর্ভুক্ত হওয়া প্রয়োজন।’
Advertisement
এ সময় জাতীয় তামাক নিয়ন্ত্রণ সেলের সমন্বয়কারী (যুগ্মসচিব) মো. খলিলুর রহমান ও স্বাস্থ্য অধিদফতরের লাইন ডিরেক্টর (অসংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রণ) ডা. নুর মোহাম্মদ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে স্বাস্থ্য ও পরিবার কল্যাণ মন্ত্রী জাহিদ মালেক, প্রতিমন্ত্রী মুরাদ হাসান উপস্থিত থাকার কথা থাকলেও তারা অন্য প্রোগ্রামে ব্যস্ত রয়েছেন বলে জানানো হয়।
আরএমএম/জেডএ/এমএস