মাগুরায় এক সেনা সদস্যের যৌতুক দাবি ও নির্যাতনের শিকার হয়ে তার স্ত্রী জীবনের নিরাপত্তা চেয়ে মাগুরা প্রেসক্লাবে বৃহস্পতিবার দুপুরে সংবাদ সম্মেলন করেছেন। সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন নির্যাতিত স্ত্রী সাবিনা ইয়াসমিন। এসময় তার সঙ্গে একমাত্র শিশু পুত্র রুহানা ও ভাই ভাবি উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলনে সাবিনা ইয়াসমিন অভিযোগ করেন যে, তিন লক্ষ টাকা যৌতুক দাবি করে না পেয়ে স্বামী সুলতান আহম্মদ ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন সাবিনা ইয়াসমিনকে শিশু পুত্রসহ তাড়িয়ে দেন। এ ঘটনায় সাবিনা ইয়াসমিন মাগুরা জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করেন। গত মঙ্গলবার এ মামলায় স্বামী সুলতান আহম্মদ মাগুরা আদালতে হাজির হলে ম্যাজিস্ট্রেট তাকে কারাগারে পাঠিয়েছেন। এতে ক্ষুব্ধ হয়ে আদালত প্রাঙ্গনেই স্বামী ও শ্বশুর বাড়ির লোকজন সাবিনা ইয়াসমিনকে শিশু পুত্রসহ খুন ও গুমের হুমকি দেন। শ্বশুর বাড়ির লোকজনের এ আচরণ এখনো অব্যাহত রয়েছে। ফলে সাংবাদিকদের মাধ্যমে সাবিনা ইয়াসমিন সরকার ও সেনাবাহিনীর উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের কাছে নিরাপত্তার দাবি জানিয়েছেন।উল্লেখ্য, ২০০৭ সালের জুন মাসে গোপালগঞ্জ জেলার সদর উপজেলাধীন তেবাড়িয়া গ্রামের হেকমত আলীর ছেলে সুলতান আহম্মদের সঙ্গে সাবিনা ইয়াসমিনের বিয়ে হয়। সাবিনা ইয়াসমিন মাগুরার মহম্মদপুর উপজেলার খালিয়া গ্রামের আ. সালাম মোল্লার মেয়ে।মো. আরাফাত হোসেন/এমজেড/আরআইপি
Advertisement