জাতীয়

শহীদ মিনারের নিরাপত্তায় থাকবে ৬ হাজার পুলিশ

একুশে ফেব্রুয়ারি শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উদযাপনকে কেন্দ্র করে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের নিরাপত্তায় ছয় হাজারসহ ঢাকা শহরের মোট ১৬ হাজার পুলিশ মোতায়েন থাকবে।

Advertisement

মঙ্গলবার (১৯ ফেব্রুারি) কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারের নিরাপত্তা ব্যবস্থা পরিদর্শন শেষে ঢাকা মেট্রোপলিটন পুলিশের (ডিএমপি) কমিশনার আছাদুজ্জামান মিয়া এ কথা বলেন।

ডিএমপি কমিশনার বলেন, শহীদ মিনারের নিশ্ছিদ্র নিরাপত্তা নিশ্চিতে যা যা প্রয়োজন করা হচ্ছে। শহীদ মিনারে প্রবেশের আশপাশ এলাকায় তল্লাশি চৌকি স্থাপন করা হবে। শহীদ দিবসের আগের দিন গোটা এলাকা সুইপিং করবে ডগ স্কোয়াড।

এ ছাড়া একুশে ফেব্রুয়ারির দিন ডগ স্কোয়াড, মহানগর গোয়েন্দা (ডিবি) পুলিশ, সোয়াট এবং বোম্ব ডিস্বোজাল ইউনিট প্রস্তুত রাখা হবে।

Advertisement

এক প্রশ্নের জবাবে ডিএমপি কমিশনার বলেন, একুশে ফেব্রুয়ারি ঘিরে জঙ্গি হামলার কোনো আশঙ্কা নেই। শহীদ মিনারের নিরাপত্তা নিয়ে ঢাবি, ডিএমপি ও সিটি কর্পোরেশন একাধিকবার সমন্বয় সভা করেছি। কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার ঘিরে চার স্তরের নিরাপত্তা বলয় থাকবে। সিসিটিভির আওতায় থাকবে পুরো এলাকা। বুধবার রাতে রাষ্ট্রপতি-প্রধানমন্ত্রী, বিদেশি কূটনৈতিক ও ভিআইপিদের শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে সাধারণদের জন্য উন্মুক্ত করা হবে কেন্দ্রীয় শহীদ মিনার। তবে সাধারণ নাগরিকদের সবাইকে পলাশী হয়ে শহীদ মিনারের প্রবেশ করতে হবে। শ্রদ্ধা নিবেদন শেষে দোয়েল চত্বর ও চানখাঁরপুল হয়ে বেরিয়ে যাবেন।

শহীদ মিনারের প্রবেশ পথে থাকবে আর্চওয়ে গেট। আগতদের প্রত্যেককে মেটাল ডিটেক্টরের মাধ্যমে তল্লাশি চৌকি পেরিয়ে প্রবেশ করতে হবে। পোশাকধারীর পাশাপাশি সাদা পোশাকে গোয়েন্দা পুলিশ সদস্যরা দায়িত্ব পালন করবেন। সবাইকে অনুরোধ করছি কেউ ফুল দিতে আসার সময় কোনো ধরনের ব্যাগ, ছুরি-কাঁচি, চাকু, দাহ্য পদার্থ আনবেন না। কারণ তল্লাশি চৌকিকে কাউকেই এগুলো নিয়ে ঢুকতে দেয়া হবে না।

তিনি বলেন, শহীদ মিনারের আশপাশের এলাকায় চেকপোস্ট বসিয়ে আগতদের তল্লাশি করা হবে। বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসনের সহযোগিতায় ভাসমান দোকান, হকার উচ্ছেদ করা হবে। ২০ তারিখ সন্ধ্যা ৬টা থেকে পরদিন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষার্থী ও স্টিকারবাহী গাড়ি ছাড়া বহিরাগত কেউ বিশ্ববিদ্যালয় এলাকায় প্রবেশ করতে পারবে না। এছাড়া স্টিকার ছাড়া কোনো যানবাহনকে এ এলাকায় প্রবেশ করতে দেয়া হবে না।

তিনি আরও বলেন, শহীদ মিনার একটা পবিত্র জায়গা। এর পবিত্রতা রক্ষা করতে আমরা দৃঢ় প্রতিজ্ঞ। সকলকে বিনীতভাবে অনুরোধ জুতা পায়ে যাতে কেউ বেদীতে না ওঠেন এবং শৃঙ্খলা বজায় রাখেন। কোনো সংস্থা বা কাউকে বাণিজ্যিকীকরণের উদ্দেশ্যে কোনো ধরনের ব্যানার ফেস্টুন ব্যবহার করতে দেয়া হবে না।

Advertisement

এআর/এএইচ/পিআর