লাইফস্টাইল

পোশাকে বাংলা ভাষা

যে ভাষায় আমরা কথা বলি, মনের কতশত ভাব প্রকাশ করি, সেই বাংলা একদিন আমাদের মাতৃভাষা ছিল না। তারপর ‘মাতৃভাষা বাংলা চাই’- দাবি নিয়ে শাষকের বিরুদ্ধে রাজপথে নেমে এসেছিলো বাংলার দামাল ছেলের দল। সেখানেই বিলিয়ে দিয়েছিল নিজের প্রাণ। মাতৃভাষার দাবিতে নিজের প্রাণ বিসর্জন দেয়ার এমন নজির পৃথিবীর আর কোথাও নেই। তাই বাংলা হয়েছে আমাদের মাতৃভাষা। ১৯৫২ সালের একুশে ফেব্রুয়ারি দিনটি তাই ইতিহাসে সমুজ্জ্বল। প্রতি বছর এই দিনটি আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস হিসেবে পালন করা হয়। আমাদের দেশীয় ফ্যাশন হাউজগুলো এই দিনটি উপলক্ষে নতুন পোশাক নিয়ে আসে প্রতিবছর। হৃদয়ের ভাষাকে পোশাকে তুলে ধরতেই তাদের এই প্রয়াস। জেনে নিন ফ্যাশন হাউসগুলোর এবারের একুশের আয়োজন-

Advertisement

আরও পড়ুন: গরমে শিশুর পোশাক

রঙ বাংলাদেশফ্যাশন হাউস রঙ বাংলাদেশ ভাষার মাসে নতুন পোশাক নিয়ে এসেছে বর্ণমালাকে নকশা করে। সাদা আর কালোর সঙ্গে যোগ করা লাল, অ্যাশ আর অফ হোয়াইট। ব্লক প্রিন্ট, স্ক্রিন প্রিন্ট, হ্যান্ডওয়ার্ক ও এমব্রয়ডারিতে করা হয়েছে জমিন অলংকরণ। মেয়েদের শাড়ি, সিঙ্গেল কামিজ, সিঙ্গেল ওড়না, ব্লাউজ এবং ছেলেদের পাঞ্জাবি, শার্ট ও টি-শার্টের পাশাপাশি পাওয়া যাবে ছোটদের সালোয়ার-কামিজ, সিঙ্গেল কামিজ, ফ্রক, পাঞ্জাবি, শার্ট, টি-শার্ট। উত্সবের পরিপূর্ণতার জন্য পাওয়া যাবে পরিবারের সবার জন্য একই থিমের পোশাক। উপহার সামগ্রী হিসেবে রয়েছে একুশের নানা ডিজাইনের মগ।

নিপুণপোশাকে সাদা-কালো ও ছাই রং নিয়ে কাজ করেছে নিপুণ। মাধ্যম হিসেবে ব্যবহূত হয়েছে অ্যাপ্লিক, হাতের কাজ, স্ক্রিন প্রিন্ট এবং ব্লক প্রিন্ট। মোটিভ হিসেবে ব্যবহূত হয়েছে ক্যালিওগ্রাফি, ফ্লোরাল ও জিওমেট্রিক প্রিন্ট।

Advertisement

অঞ্জন’সভাষার মাসে পোশাকে অক্ষরচিত্র ও বিমূর্ত মোটিফ দিয়ে ডিজাইন করেছে অঞ্জন’স। ক্যানভাসে প্রাধান্য পেয়েছে স্ক্রিন ও ব্লক প্রিন্টের কাজ। সাদা-কালো-লাল কটন ফ্যাব্রিকসে সালোয়ার-কামিজ, ফতুয়া, শাড়ি, পাঞ্জাবিসহ শিশু-কিশোরদের জন্য পোশাক এনেছে প্রতিষ্ঠানটি। প্যাটার্ন ভেরিয়েশনে ট্রেন্ডি ও ডিজাইনে অনুসরণ করা হয়েছে দেশীয় ঐতিহ্য।

বিশ্বরঙ২১শে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে নতুন ডিজাইনের পোশাক নিয়ে এসেছে ফ্যাশন হাউস বিশ্বরঙ। ছেলেদের পাঞ্জাবি, মেয়েদের শাড়ি ও সালোয়ার-কামিজে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে একুশের নানা অনুষঙ্গ।

নিত্য উপহারসামপ্রতিক সময়ের বহমান একুশের চেতনাকে উপস্থাপন করা হয়েছে নিত্য উপহারের আয়োজনে। শিল্পী রোচিষ্ণু স্যানাল ‘বিবিধ রতন’ ও ‘স্বদেশি ভাষা’, শিল্পী মোস্তাফিজ কারিগর ‘আরেক ফাল্গুন- ২’ এবং নিত্য উপহার ষ্টুডিও ‘স্মৃতির মিনার’ টি-শার্ট ডিজাইন করেছে।

ফড়িংসালোয়ার-কামিজ, ফতুয়া, শাড়ি, পাঞ্জাবিসহ শিশু-কিশোরদের জন্য একুশের পোশাক এনেছে প্রতিষ্ঠানটি। পোশাকে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে একুশের আবহ।

Advertisement

আরও পড়ুন: যেমন পোশাক তেমন সাজ

কে-ক্র্যাফ্টএবারের একুশের পোশাকে থাকছে-বর্ণমালা ইলাষ্ট্রেশনের কোলাজ, স্ট্রাইপ-জ্যামিতিক ও ফুলেল মোটিফ। এছাড়াও রয়েছে টাই-ডাই এর নানা বৈচিত্র্য। রং-এর ক্ষেত্রে প্রাধান্য দেওয়া হয়েছে- শোকের কালো, সূর্যের লাল, বিষন্নতার ধূসর, সত্য ও পবিত্রতার প্রতীক সাদার সমতলকে।

এইচএন/পিআর