দেশজুড়ে

আখেরি মোনাজাতে শেষ হচ্ছে বিশ্ব ইজতেমা

তাবলিগ জামাতের ৫৪তম বিশ্ব ইজতেমা আজ আখেরি মোনাজাতের মধ্য দিয়ে শেষ হচ্ছে। মাওলানা সা’দ অনুসারীদের পরিচালনায় তিন দিনের ইজতেমার আখেরি মোনাজাত অনুষ্ঠিত হবে সকাল ১০টায়। তাবলিগ জামাতের দিল্লির নিজামুদ্দিন মারকাজের মাওলানা মুহাম্মদ শামীম আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করবেন।

Advertisement

এর আগে বাদ ফজর বয়ান করেন দিল্লির মাওলানা হাফেজ ইকবাল নায়ার। তার বয়ান বাংলায় তরজমা করেন বাংলাদেশি মাওলানা ওসামা বিন ওয়াসিফ।

গত ১৫ ও ১৬ ফেব্রুয়ারি অনুষ্ঠিত হয় মাওলানা জোবায়ের অনুসারীদের ইজতেমা। মাওলানা জোবায়ের অনুসারীদের আগামী ২০২০ সালের ইজতেমা ১০ জানুয়ারি থেকে ১২ জানুয়ারি প্রথম পর্ব এবং ১৭ থেকে ১৯ জানুয়ারি দ্বিতীয় পর্ব ইজতেমা অনুষ্ঠিত হবে। গত ১৬ ফেব্রুয়ারি জোবায়ের অনুসারীদের আখেরি মোনাজাতের পর এই ঘোষণা দেয়া হয়।

আগামী বছর মাওলানা সা’দ অনুসারীদের ইজতেমার তারিখ পরে ঘোষণা করবেন তাদের আমির মাওলানা সা’দ। সোমবার দুপুরে ইজতেমা ময়দানে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে এ তথ্য জানান সা’দ অনুসারী মাওলানা মো. আশারফ আলী।

Advertisement

মঙ্গলবার সকাল পর্যন্ত ইজতেমা ময়দানে ৩৬টি দেশের প্রায় ১২শ বিদেশি মেহমানও ইজতেমা ও আখেরি মোনাজাতে অংশ নিতে ময়দানে উপস্থিত ছিলেন বলে ইজতেমা কর্তৃপক্ষ জানান।

হেদায়েতি বয়ান : সকাল সাড়ে ৭টার দিকে হেদায়েতি বয়ান শুরু করেন দিল্লির মাওলানা মুহাম্মদ শামীম। বয়ানে তিনি বলেন, যে দ্বীন ইসলামের বিধান অনুসারে চলবে এবং হজরত মুহাম্মদের (সা.) জীবনাদর্শ অনুসরণ করবে সে দুনিয়া ও আখিরাতে সফলতা অর্জন করবে।

তিনি আরও বলেন, ঈমানকে শক্তিশালী করতে হলে মানুষকে মসজিদের পরিবেশে বসাতে হবে। মুসলমানের নামাজ ছাড়ার প্রশ্নই আসে না। নামাজ এমনভাবে আদায় করতে হবে, যেমন নবী করিম (সা.) আদায় করেছেন। জবরদস্তি করে নয়, তাজিমের সঙ্গে বুঝিয়ে কাউকে মসজিদে নিয়ে আসতে হবে। আমাদের প্রত্যেকটি কাজ আল্লাহকে রাজি ও খুশি করার জন্যই করতে হবে। নামাজ সমস্ত গুনাহ থেকে বিরত রাখে। সহিহভাবে নামাজ আদায় শিখতে হবে। নামাজের দরকারি সুরাসমূহ সহিহ-শুদ্ধভাবে শিখতে হবে।

আমিনুল ইসলাম/আরএআর/এমকেএইচ

Advertisement