ব্যাটারি উৎপাদন ও রিসাইক্লিংয়ের জন্য একটি শিল্পজোন গঠনের দাবি জানিয়েছে ব্যাটারি প্রস্তুতকারক ও রফতানিকারক সমিতি। সোমবার শিল্প মন্ত্রণালয়ে সমিতির নেতারা শিল্পমন্ত্রী নূরুল মজিদ মাহমুদ হুমায়ূনের সঙ্গে বৈঠকে এ দাবি জানান।
Advertisement
বৈঠকে সমিতির সভাপতি মুনাওয়ার মিসবাহ্ মঈন, সাধারণ সম্পাদক শাহজাহান কবির, সহ-সভাপতি লোকমান হোসেনসহ শিল্প মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন।
ব্যাটারি ব্যবসায়ীরা বলেন, দেশীয় শিল্প উদ্যোক্তারা পরিবেশবান্ধব ব্যাটারি উৎপাদন শিল্প গড়ে তুললেও চীনের উদ্যোক্তারা বেআইনি ও অপরিকল্পিতভাবে ব্যাটারি উৎপাদন ও রিসাইক্লিং কারখানা স্থাপন করছে। ফলে দেশীয় উদ্যোক্তাদের জন্য বাজারে অসম প্রতিযোগিতা তৈরি হচ্ছে। তারা বেআইনিভাবে গড়ে ওঠা ব্যাটারি শিল্প কারখানাগুলো আইনি কাঠামোর আওতায় আনার তাগিদ দেন।
এ সময় জানানো হয়, বাংলাদেশের ব্যাটারি শিল্প ক্রমেই বিকশিত হচ্ছে। এ শিল্প খাতে ইতোমধ্যে ২৪টি দেশীয় উৎপাদনকারী কারখানা গড়ে উঠেছে। এসব কারখানায় উৎপাদিত মানসম্পন্ন ব্যাটারি অভ্যন্তরীণ চাহিদা মিটিয়ে বিশ্বের প্রায় ৬৯টি দেশে রফতানি হচ্ছে। এ শিল্প খাত থেকে প্রতি বছর প্রায় ৬০ মিলিয়ন মার্কিন ডলার রফতানি আয় হচ্ছে বলেও জানানো হয়।
Advertisement
সমিতির নেতারা বৈঠকে ব্যাটারি শিল্পের সুষম বিকাশে একটি সমন্বিত নীতিমালা প্রণয়নের তাগিদ দেন। তারা জাতীয় স্বার্থে অপরিকল্পিত ও বেআইনিভাবে গড়ে ওঠা কারখানার বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়ার জন্য শিল্পমন্ত্রীর দৃষ্টি আকর্ষণ করেন।
তাদের বক্তব্য শুনে শিল্পমন্ত্রী বলেন, দেশীয় পরিবেশবান্ধব ব্যাটারি শিল্পকারখানার স্বার্থ রক্ষায় সরকার সর্বোচ্চ সহায়তা দেবে। পাশাপাশি বেআইনিভাবে গড়ে ওঠা ব্যাটারি উৎপাদনকারী কারখানাগুলোর বিরুদ্ধে মোবাইল কোর্ট পরিচালনা করা হবে। সরকার ইতোমধ্যে এ শিল্প খাতের উদ্যোক্তাদের রফতানির ক্ষেত্রে ১৫ শতাংশ নগদ প্রণোদনা দিচ্ছে বলেও জানান তিনি।
শিল্পমন্ত্রী পরিকল্পিতভাবে ব্যাটারি উৎপাদন ও রিসাইক্লিংয়ের জন্য একটি জায়গা চিহ্নিত করে শিল্পজোন স্থাপনের বিষয়ে সুস্পষ্ট প্রস্তাব দিতে সমিতির নেতাদের পরামর্শ দেন। এর ভিত্তিতে শিল্প মন্ত্রণালয় প্রয়োজনীয় সহায়তা দেবে বলেও তিনি আশ্বাস দেন।
এসআই/এমএআর/বিএ
Advertisement