অর্থনীতি

আর্থিক সূচকে সঠিক পথে নতুন ব্যাংকগুলো

আর্থিক সূচকে সঠিক পথেই রয়েছে বেসরকারি খাতের নতুন ব্যাংকগুলো। ব্যাংকগুলোর খেলাপি ঋণ নেই বললেই চলে। শাখার সংখ্যা বেড়েছে। বেড়েছে আমানত। সব মিলিয়ে আর্থিক সূচকে সঠিক পথেই চলছে নতুন প্রজন্মের ব্যাংকগুলো।ব্যাংক ৯টি হচ্ছে- মধুমতি, মিডল্যান্ড, সাউথ বাংলা, মেঘনা, ইউনিয়ন, ফার্মারস, এনআরবি লিমিটেড, এনআরবি কমার্শিয়াল এবং এনআরবি গ্লোবাল ব্যাংক।সূত্র বলছে, নতুন প্রজন্মের ব্যাংকগুলোর অনুমোদন দেয়ার আগে প্রশ্ন ওঠেছিল। রাজনৈতিক বিবেচনায় অনুমোদন পাওয়া ব্যাংকগুলো ঠিক মতে চলতে পারবে কি-না।তবে বাংলাদেশ ব্যাংক বলছে, নতুন ব্যাংকগুলোর লাইসেন্স দেওয়ার সময় একটা উদ্বেগ ছিল। ব্যাংক খাতে অশুভ প্রতিযোগিতায় তৈরি হয় কি-না। কিন্তু ব্যাংক খাতে আমানতের হার ইঙ্গিত দেয় তেমনটি তৈরি হয়নি। আমানতের জন্য নতুন ব্যাংকগুলো মরিয়া থাকলে ব্যাংক খাতে সামগ্রিক সুদ হার বেড়ে যেত অস্বাভাবিত ভাবে।বাংলাদেশ ব্যাংকগুলো একটি আলাদা পর্যালোচনা প্রতিবেদন করেছে নতুন ব্যাংকগুলো নিয়ে। এতে বলা হয়, ব্যাংক ব্যবসায় ৯টি নতুন ব্যাংক তাদের অংশীদারিত্ব বাড়াতে সক্ষম হচ্ছে। তাদের শাখার সন্তোষজনক ভাবে বেড়েছে। এদের কোনো খেলাপি ঋণ নেই। যা আর্থিক সূচকে ভালো ইঙ্গিত।২০১৩ সালে নতুন ৯টি বেসরকারি ব্যাংকের কার্যক্রম শুরু হয়। এর মধ্যে একটি শরিয়া ভিত্তিক ইসলামী ব্যাংকিং করছে। তিনটি ব্যাংকের মালিকানায় রয়েছেন প্রবাসীরা।জানতে চাইলে সাউথ বাংলা অ্যাগ্রিকালচার ও কমার্স ব্যাংকের চেয়ারম্যান এসএম আমজাদ হোসেন টেলিফোনে জাগো নিউজকে বলেন, নতুন ব্যাংকগুলো কার্যক্রমে আসার আগে নানা প্রশ্ন ওঠেছিল। কিন্তু গত এক বছরে ব্যাংকগুলো চমৎকার ভাবেই চলেছে। কোন সমস্যা নয়নি ব্যাংক খাতে।তিনি আরো বলেন, প্রশ্ন ওঠেছিল আমানত সংগ্রহে অসুস্থ্য প্রতিযোগিতা তৈরি হবে। কিন্তু সেটি হয়নি। আশা করি, আগামী দিনেও আমরা ভালো ভাবেই টিকে যাব।বাংলাদেশ ব্যাংক সূত্রে জানা গেছে, নতুন ব্যাংকগুলোর সম্পদ দাঁড়িয়েছে সমগ্র ব্যাংক খাতের সম্পদের আড়াই শতাংশ। ২০১৩ সালের ডিসেম্বরে যা ছিল ১ শতাংশ। গত ডিসেম্বরে ছিল ২ শতাংশ। মোট ঋণ ও অগ্রিমে এসব ব্যাংকের অংশ ২ দশমিক ২ শতাংশ। ২০১৩ সাল শেষে ছিল মাত্র শূন্য দশমিক ৫ শতাংশ।ব্যাংকগুলোর সম্পদের গুণগত মান সন্তোষজনক। তাদের খেলাপি ঋণ শূন্যের ঘরে। এর কারণ- তাদের ঋণ ও অগ্রিম পুরনো ব্যাংকগুলোর তুলনায় অনেক কম। তাদের ঋণগুলো নতুন বলে এখনও কোনো সমস্যার সৃষ্টি হয়নি। এছাড়া তারা এখনও নিরাপদ নগদ ঋণের ওপর নির্ভরশীল রয়েছে।শ্রেণিকৃত ঋণ নেই বিধায় এসব ব্যাংকের প্রভিশন বা নিরাপত্তা সঞ্চিত রাখার চাপ খুবই কম। নিয়মিত ঋণের ওপরই তাদের প্রভিশন রাখতে হচ্ছে।২০১৩ সাল শেষে নতুন ব্যাংকগুলোর শাখার সংখ্যা ছিল ৬৫টি। বর্তমানে তাদের শাখার সংখ্যা দাঁড়িয়েছে ১৯৪টি।এসএ/আরএস/আরআইপি

Advertisement