‘তোমার ঠোঁট দুইটা যা গোলাপিইইই... ইস...দেখলেই ইচ্ছে করে...ওহ...তুমি লিপিস্টিক দাও না কেন? আজকে যেমন হালকা করে দিয়েছো, ঠিক এইরকম করে দিবে...তোমার ঠোঁট দেখলে আমার যে কি ইচ্ছে করে... উফফফফ... বলতে বলতেই মালেক স্যারের ফ্যাকাসে বরফের মতো অদ্ভুত কিন্তু পঁয়ষট্টি পেরুনো শিকারি চোখ দুটো চকচক করে ওঠে।’
Advertisement
নাগরিক ইটপাথর কিংবা সবুজ মোড়ানো আলপথের ফাঁকে কিছু জীবন থাকে- সে জীবনের বাস্তবতা কল্পনাকেও হার মানায়। প্রাণ যতটুকুই হোক, ব্যথা তার সমানই হয়। সকল প্রাণের বিয়োগ বেদনা একই রকম শুধু প্রকাশটা ভিন্ন। তাই গল্প আদতেই গল্প নয়- অভিন্ন জীবনে ভিন্ন বাস্তবতা।
এমনই কিছু ভিন্ন বাস্তবতা নিয়ে বই মেলায় এসেছে সামিনা বিপাশার প্রথম গল্পগ্রন্থ 'কারাভোগীর জবানবন্দি ও অন্যান্য গল্প'। এই গল্পগ্রন্থে গন্ধরোগ, বিশ্বাস, কারাভোগীর জবানবন্দি, পেঁচা, পেচ্ছাব ও একটি আকাঙ্ক্ষার অপমৃত্যু, অপয়া, বন্দুক কোটা এবং কনডম ও শীতসন্ধ্যার গল্প নামে কিছু অভিজ্ঞতার বয়ান পাঠকের সাথে মোকাবেলা করার জন্য ছাপার অক্ষরে গ্রন্থিত হয়েছে। যা মনোযোগী পাঠককে পাঠ পরবর্তী সময়ে নিজেকে ভিন্নভাবে আবিষ্কার করবেন।
অমর একুশে গ্রন্থমেলা ২০১৯ উপলক্ষ্যে বাংলা জার্নাল থেকে প্রকাশিত তার বইটি বাংলা একাডেমি প্রাঙ্গণে অবস্থিত লিটল ম্যাগ চত্বরের ৩০ নং স্টলে পাওয়া যাচ্ছে। ইতোপূর্বে অবশ্য তার দুইটি কাব্যগ্রন্থ প্রকাশিত হয়েছে। এগুলো খেয়ালের খেলাঘর ও শোনো কথা কয় মনপাখি।
Advertisement
সামিনা বিপাশা, প্রমাণপত্রের সামিনা সুলতানা। পৃথিবীর দ্বিতীয় বৃহত্তর পোতাশ্রয়বেষ্টিত শান্ত নদী শীতলক্ষ্যা পাড়ের বন্দর শহর নারায়ণগঞ্জে মাতুলালয়ে জন্ম। পিতা বীর মুক্তিযোদ্ধা মোঃ জুলফিকার রহমান জেলার প্রধান প্রশাসনিক কর্মকর্তা হওয়ায় লেখাপড়ার হাতেখড়ি চাঁদপুরে, এরপর শরীয়তপুর, নারায়ণগঞ্জ সরকারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়, মতিঝিল আইডিয়াল স্কুল এ্যান্ড কলেজ, পরে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে গণিতে বিএসসি (সম্মান), এমএসসি। কর্মজীবন শুরু হয় একটি আন্তর্জাতিক এনজিও'র সাথে। তারপর প্রকাশনা প্রতিষ্ঠানের সাথে সম্পৃক্ততা। বর্তমানে একমাত্র সন্তান মমিন জুলফিকার স্বদেশকে সামলাতে ব্যস্ত।
স্কুল জীবন থেকেই লেখালেখির শুরু। বাংলা একাডেমির তরুণ লেখক প্রকল্প- ৬ষ্ঠ ব্যাচের শিক্ষার্থী ছিলেন তিনি।
এইচএস/এসএইচএস/এমএস
Advertisement