দেশজুড়ে

হরিপুরের ঘটনা অনাকাঙ্ক্ষিত : বিজিবি মহাপরিচালক

বর্ডার গার্ড বাংলাদেশের (বিজিবি) মহাপরিচালক মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুরের ঘটনাকে ‘অনাকাঙ্ক্ষিত’ বলে উল্লেখ করেছেন।

Advertisement

তিনি বলেন, এটি একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা। ওই এলাকার লোকজনের সঙ্গে কথা বলে জেনেছি, তাদের কাছেও এটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা, আমাদের কাছেও তাই। ভবিষ্যতে যেন এ ধরনের কোনো ঘটনা না ঘটে সে জন্য বিজিবি ও এলাকাবাসী সতর্ক থাকবে।

সোমবার দুপুর ২টার দিকে ঠাকুরগাঁও সার্কিট হাউস হল রুমে সাংবাদিকদের সঙ্গে এক মতবিনিময় সভায় বিজিবি মহাপরিচালক এসব কথা বলেন।

তিনি বলেন, বাংলাদেশের ৪ হাজার ৪২৭ কিলোমিটার সীমান্ত রক্ষার দায়িত্ব পালন করে আসছে বিজিবি। সীমান্তে বসবাসরত জনগণের সঙ্গে সুসম্পর্ক বজায় রেখে তাদের সহযোগিতা নিয়েই বিজিবি সেই দায়িত্ব পালন করে থাকে।

Advertisement

বিজিবি মহাপরিচালক বলেন, হরিপুরের ঘটনাটি তদন্তে বিজিবির পক্ষ থেকে পাঁচ সদস্যের একটি উচ্চ পর্যায়ের তদন্ত কমিটি করা হয়েছে। কমিটির প্রতিবেদেনের ভিত্তিতে পরবর্তী ব্যবস্থা নেয়া হবে।

গুলিবর্ষণ ছাড়া অন্য কোনোভাবে সমস্যা মেটানো যেত কি না- সাংবাদিকদের এমন প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বিষয়টি তদন্তাধীন। তদন্তেই বেরিয়ে আসবে যে কী করা উচিৎ ছিল, কেন গুলি করা হল। তদন্ত শেষ না হওয়া পর্যন্ত কোনো মন্তব্য করতে পারব না।

ঠাকুরগাঁও আসার কারণ ব্যাখ্যা করে মেজর জেনারেল মো. সাফিনুল ইসলাম বলেন, এখানে এসে হরিপুরের বহরমপুর গ্রামের কিছু মানুষের সঙ্গে মতবিনিময় করেছি এবং ডিসি, এসপির সঙ্গে মতবিনিময় করে বিষয়টি অনুধাবন করার চেষ্টা করেছি।

বিজিবির পক্ষ থেকে ক্ষতিগ্রস্ত পরিবারগুলোকে কোনো সহযোগিতা করা হবে কি না জানতে চাইলে মহাপরিচালক বলেন, তদন্ত শেষ হওয়ার পর যাকে যে ধরনের সহযোগিতা করা প্রয়োজন, আমরা সর্বাত্মক চেষ্টা করব তা করার।

Advertisement

মতবিনিমিয় সভায় জেলা প্রশাসক ড. কেএম কামরুজ্জামান সেলিম, পুলিশ সুপার মনিরুজ্জামান, ঠাকুরগাঁও ৫০ বিজিবি ব্যাটালিয়নের অধিনায়ক লেফটেন্যান্ট কর্নেল তুহিন মো. মাসুদ, বিজিবির ঠাকুরগাঁও অঞ্চলের সেক্টর কমান্ডার সামশুল আরেফিন, ঠাকুরগাঁও প্রেসক্লাবের সভাপতি মনসুর আলী প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

উল্লেখ্য, গত ১২ ফেব্রুয়ারি ঠাকুরগাঁওয়ের হরিপুর উপজেলার বহরমপুর গ্রামে গরু জব্দ করাকে কেন্দ্র করে বিজিবি ও গ্রামবাসীর মধ্যে সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। ওই সময় বিজিবির গুলিতে তিনজন নিহত হন, আহত হন ১৫ জন। গত বৃহস্পতিবার এ ঘটনায় নিহতরাসহ প্রায় ২৫০ জনের বেশি গ্রামবাসীকে আসামি করে হরিপুর থানায় মামলা করেছে বিজিবি।

রবিউল এহসান রিপন/আরএআর/পিআর