ঠিক কতখানি ভালোবাসলে নিজের জীবনকে তুচ্ছ করে অকাতরে বিলিয়ে দেয়া যায়? হৃদয়ের দাবি ঠিক কতখানি জোরালো হলে নিজের রক্তে রাজপথ রঙিন করা যায়? আমরাই একমাত্র জাতি, যারা মাতৃভাষার জন্য জীবন দিয়েছে! আমাদের দেশই পৃথিবীর একমাত্র ভাষাভিত্তিক রাষ্ট্র। তাইতো আমাদের ইতিহাসের পাতায় জ্বলজ্বল করছে ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের বীর সৈনিকদের নাম।
Advertisement
আরও পড়ুন : গরমে শিশুর পোশাক
আমাদের জীবনযাপনের প্রতিটি প্রবাহে মিশে রয়েছে প্রিয় বাংলা ভাষা। মাতৃভাষাকে ভালোবেসে তা পোশাকে ধারণ করার রীতিও আমাদের নতুন নয়। প্রতিবছর আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে আমাদের মেধাবী ফ্যাশন বিশেষজ্ঞরা নতুন নতুন নকশার পোশাক নিয়ে আসেন। একুশে পোশাকের ক্যানভাসে ফুটিয়ে তোলা হয় গর্বিত বর্ণমালার সাজ। বর্ণ ও শব্দমালার বিন্যাসে আমাদের ভাষা আন্দোলন, মুক্তিযুদ্ধ এবং অন্যান্য গর্বের বিষয় ফুটিয়ে তোলা হয়। নানা উক্তি, কবিতার পঙক্তি তো রয়েছেই।
ফ্লোরাল মোটিফ, জ্যামিতিক নকশার সৃজনশীল অলংকরণে তৈরি হয় সালোয়ার-কামিজ, কটি-কামিজ, কুর্তি, লং কুর্তি, সিঙ্গেল কামিজ, কটি-কুর্তি, শাড়ি, পাঞ্জাবি, শার্ট ইত্যাদি। এ ছাড়াও শিশুদের জন্যও থাকে সালোয়ার-কামিজ, কুর্তি/টপস্, পাঞ্জাবি, শার্ট ইত্যাদি। একুশের পোশাকের নকশায় বর্ণমালা, ভাষা ও ভাষাশহীদদের পাশাপাশি দেশজ চেতনা ও ঐতিহ্যের বিষয়টি গুরুত্ব পায়। তাই তো নকশিকাঁথা ফোঁড়, ব্লক, স্প্রে-ব্লক, অ্যাপলিক, স্ক্রিন, হ্যান্ডপেইন্ট এবং এমব্রয়ডারির কাজ চোখে পড়ার মতো।
Advertisement
একুশে ফেব্রুয়ারির এই দিনটিকে সাজানো হয় কালো আর সাদা রঙের আঙ্গিকে। যদিও এখন কিছুকিছু ক্ষেত্রে লাল রঙের দেখা পাওয়া যায়। সাদা রঙের শাড়ি তাতে কালো পাড় কিংবা সাদা রঙের সালোয়ার, ওড়না আর কালো রঙের কামিজে মেয়েরা সাজায় নিজেদের। শাড়িতে থাকে নানা জলছাপ। ছেলেদের টি-শার্ট থেকে শুরু করে শার্ট, পাঞ্জাবি আর পাজামাতেও দেখা যায় এই সাদা আর কালো রঙ্গের খেলা।
আরও পড়ুন : অফিসে কেমন হবে আপনার পোশাক
চড়কা, আড়ং, নিত্য উপহার, কে ক্রাফট, অঞ্জনস, ওয়েস্ট রঙ থেকে শুরু করে বিভিন্ন ফ্যাশন হাউসের শোরুমে বিভিন্ন ডিজাইন করা একুশে ফেব্রুয়ারিকে কেন্দ্র করে নকশা করা পোশাক পাওয়া যাবে।
এইচএন/এমএস
Advertisement