দেশের সবত্র ইতিহাস বিকৃতির অপচেষ্টা চলছে বলে অভিযোগ করে বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টির (ন্যাপ) মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া বলেছেন, ‘খুঁটিবিহীন ঘর যেমন টিকে থাকে না, তেমনই বিকৃত ইতিহাসও টিকে থাকতে পারে না। ইতিহাসে যার যা অবদান তাকে সেই স্বকৃতি দিতে হবে। ১৯৫২ সালের ভাষা আন্দোলনের পথ ধরেই বাংলাদেশের স্বাধীনতা। আজ সেই ভাষা আন্দোলনের ইতিহাসকেও বিকৃতি করার ষড়যন্ত্র চলছে।’
Advertisement
সোমবার রাজধানীর নয়াপলন্টনের যাদু মিয়া মিলনায়তনে ‘আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা ও শহীদ দিবস স্মরণে’ গণতান্ত্রিক ঐক্য আয়োজিত এক আলোচনা সভায় তিনি এসব কথা বলেন।
ন্যাপ মহাসচিব বলেন, বাংলাদেশকে রাজনৈতিকভাবে পরাধীন করার ষড়যন্ত্র চলছে। চার দিকে দুর্নীতির মরণব্যাধি ছড়িয়ে পড়েছে। ভাষা শহীদদের স্বপ্ন আজ পদদলিত, লাঞ্ছিত, অবহেলিত। ইতিহাসের সকল কৃতিত্ব এক ব্যক্তিকে দিতে গিয়ে চলছে মিথ্যাচার।
তিনি বলেন, সর্বদলীয় রাষ্ট্রভাষা সংগ্রাম কমিটির আহ্বায়ক মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীকে আজ ভাষা আন্দোলনের ইতিহাস থেকে বাদ দেবার চেষ্টা চলছে। যা কখনও সম্ভব নয়। ভাষা আন্দোলন থেকে স্বাধীন বাংলাদেশ নির্মাণ কোথাও থেকে মওলানা ভাসানীকে বাদ দেয়া সম্ভব নয়।
Advertisement
তিনি আরও বলেন, বর্তমানে দেশে যে ইতিহাস রচনার চেষ্টা চলছে তাতে সন্তান জন্মের ভ্রুন সৃষ্টির কথা নাই, নাই পিতা-মাতার কথা। শুধু সন্তান জন্মের পরের কথা দিয়ে ইতিহাস নির্মাণ চলছে। যা কখনও টিকে থাকতে পারে না। আর বিকৃত ইতিহাস নির্মাণের কাজ করছেন এক শ্রেণির পা চাটা বুদ্ধিজীবী, যারা দলীয় সুবিধাভোগী। এই শ্রেণি হচ্ছে দেশ-জাতির কলঙ্ক।
সভাপতির বক্তব্যে রফিকুল ইসলাম বলেন, মজলুম জননেতা মওলানা ভাসানীকে বাদ দিয়ে মহান ভাষা আন্দোলন বা মুক্তিযুদ্ধ কোনো কিছুর ইতহাসই নির্মাণ সম্ভব নয়। ভাষা শহীদদের স্বপ্নের বাংলাদেশ নির্মাণে সমাজ থেকে দুর্নীতিবাজদের নির্মূল করতে হবে।
সভায় অন্যান্যদের মধ্যে কেএসপি সভাপতি মো. সিরাজুল হক, এনডিপি মহাসচিব মো. মঞ্জুর হোসেন ঈসা, ন্যাপ ঢাকা মহানগর যুগ্ম সম্পাদক মেহেদী হাসান হাওলাদার, সংগঠনের যুগ্ম আহ্বায়ক আবদুর রহমান প্রমুখ বক্তৃতা করেন।
কেএইচ/এমবিআর/পিআর
Advertisement