আবাহনীর পর্তুগিজ কোচ মারিও লেমস সাংবাদিক দেখেই এগিয়ে আসলেন। তিনি জানতেন ম্যাচ শেষে কথা বলতে হবে। ব্রাদার্সের বিরুদ্ধে ৪-০ গোলের জয়। একটা সহজ ম্যাচ পার করলেন- বলতেই ‘নো নো’ বলে উড়িয়ে দিলেন আবাহনীর কোচ। বললেন ‘আবাহনীর জন্য কোনো ম্যাচই সহজ নয়। এটা আমাদের জন্য কঠিন ম্যাচ ছিল। তবে আমরা ভালো খেলার চেষ্টা করেছি। আমরা আরো ভালো খেলতে পারি, আরো ভালো খেলা উচিত।’
Advertisement
ব্রাদার্সকে ভালো দল উল্লেখ করে আবাহনীর কোচ বলেন, ‘ফেডারেশন কাপে কিন্তু এই দলের সঙ্গে আমরা গোলশূন্য ড্র করেছিলাম। হয়তো তাদের খারাপ সন্ধ্যা গেছে আজ।’
রোববার বঙ্গবন্ধু স্টেডিয়ামে আবাহনীর বড় জয়ের জোড়া গোল করেছেন হাইতিয়ান ফরোয়ার্ড বেলফোর্ট। একটি নাইজেরিয়ান সানডে। তবে প্রথম গোলটি তারা উপহার পেয়েছে ব্রাদার্সের উত্তম রায়ের কাছ থেকে। তিনি আবাহনীর আক্রমণ রুখতে গিয়ে বল পাঠিয়েছেন নিজেদের জালে।
প্রিমিয়ার লিগে ব্রাদার্সের আত্মঘাতি গোল খাওয়া যেন অভ্যাসে পরিণত হয়েছে। প্রথম ম্যাচে শেখ রাসেলের বিরুদ্ধে আত্মঘাতি গোল করেছিলেন আশরাফুল করিম, তৃতীয় ম্যাচে সাইফের বিরুদ্ধে মোহাম্মদ সজল ও চতুর্থ ম্যাচে চট্টগ্রাম আবাহনীর বিরুদ্ধে সফিকুল করেছেন আত্মঘাতি গোল।
Advertisement
রোববার আবাহনী ম্যাচটি নিজেদের করে নেয় ১৮ মিনিটের মধ্যে ২ গোলে এগিয়ে গিয়ে। ১১ মিনিটে উপহার পাওয়া গোলের পর ১৮ মিনিটে বেলফোর্ট ব্যবধান দ্বিগুণ করেন। ৪২ মিনিটে সানডের গোলের পর ব্রাদার্স ম্যাচ থেকে ছিটকে পড়ে। ৫৭ মিনিটে বেলফোর্ট নিজের দ্বিতীয় গোল করে হ্যাটট্রিক পূরণের চেষ্টা করেও পারেননি। একবার তার শট ক্রসবারে না ফিরলে হ্যাটট্রিকটাও হয়ে যেতো তার।
দ্বিতীয় ম্যাচে বসুন্ধরা কিংসের কাছে হারার পর আর পেছনে তাকায়নি ছয়বারের চ্যাম্পিয়নরা। একের পর এক ম্যাচ জিতে এককভাবে পয়েন্ট টেবিলের শীর্ষে আকাশী-হলুদরা। ৭ ম্যাচে বর্তমান চ্যাম্পিয়নদের পয়েন্ট ১৮। ব্রাদার্স ৬ ম্যাচে পঞ্চম হারে লিগ টেবিলের দশম স্থানে।
আরআই/আইএইচএস/পিআর
Advertisement