বাংলাদেশে সাইবার নিরাপত্তা বিষয়ে কাজ করতে প্রতিবেশী দেশ ভারতের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন পরিকল্পনামন্ত্রী এম এ মান্নান।
Advertisement
রোববার (১৭ ফেব্রুয়ারি) রাজধানীর একটি হোটেলে ‘সিকিউরিটি সিম্পোজিয়াম অ্যান্ড সাইবার সেন্টিনেল অ্যাওয়ার্ড বাংলাদেশ’ শীর্ষক এক উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে এ আহ্বান জানান মন্ত্রী।
অনুষ্ঠানে বক্তব্য দেন ঢাকা স্টক এক্সচেঞ্জের ব্যবস্থাপনা পরিচালক কে এ এম মাজেদুর রহমান, ইনফোসেক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান সুশোভন মুখার্জি ও এন্টারপ্রাইজ আইটি ওয়াল্ডের সঞ্জয় মোহপাত্র।
বক্তব্যের শুরুতে প্রতিবেশী দেশ ভারতের প্রতিনিধিসহ উপস্থিত সবাইকে স্বাগত জানিয়ে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘আপনি স্মার্ট, অন্য ব্যক্তিও স্মার্ট। আপনি যদি আরও স্মার্ট হন, সেও আরও স্মার্ট হবে। তাই সীমাহীন সাইবার দুনিয়ায় নিরাপত্তা খুবই গুরুত্বপূর্ণ। তাই এখানে যারা আছেন, আপনাদের বাংলাদেশে স্বাগতম। এখানে আপনারা ব্যবসা করেন। আপনারা যদি এক পা এগোন, আমরা দুই পা এগোবো- এটাই আমাদের নীতি।’
Advertisement
তিনি বলেন, ‘আমরা একে অপরকে সমৃদ্ধ করব। যৌথভাবে অগ্রগতির দিকে আমাদের এ যাত্রা। আমি আপনাদের আহ্বান জানাব, আমাদের সঙ্গে যোগ দিন। এটা সাইবার নিরাপত্তার ব্যাপার। এটা প্রয়োজন। সাইবার দুনিয়ায় আমরা আপনাদের সঙ্গে চলতে চাই।’
প্রথম যখন ডিজিটাল বাংলাদেশ গড়ার কথা বলা হয়েছিল, তখন অনেকে ঠাট্টা-মশকরা করত উল্লেখ করে পরিকল্পনামন্ত্রী বলেন, ‘ডিজিটাল বাংলাদেশ করব, ১৫ থেকে ২০ বছর আগে আমরা যখন কথাটা তুললাম, আমার বন্ধুরা অনেকে ঠাট্টা করত। বলত, তোমরা পাগল নাকি। যে দেশের অর্ধেকের বেশি মানুষ নাম লিখতে পারে না, প্রায় ৬০ থেকে ৭০ ভাগ জায়গায় বিদ্যুৎ নেই, সড়ক নেই, যোগাযোগ নেই, প্রায় ৪০ ভাগ মানুষ দিন এনে দিন খেতে পায় না, গরিব; সেখানে তোমরা ডিজিটাল বাংলাদেশ করবে? কী পেয়েছো? এটা তামাশা নাকি? কিন্তু আমরা এটা করে ফেলেছি।’
‘আছে এখনও যাওয়ার বাকি, সেটাও আমরা করে ফেলব। এই যে বিরাট কাজ, এটা একা সম্ভব নয়। আমাদের সাপোর্ট প্রয়োজন। প্রতিবেশী দেশসহ সব ক্ষেত্র থেকেই সমর্থন প্রয়োজন,’ যোগ করেন এম এ মান্নান।
তিনি বলেন, ‘যারা ঠাট্টা-মশকরা করত, এখন তারা নিজেরাই লজ্জা পায় সেটা মনে করলে। আমাদের ছেলেমেয়েরা, পরিশ্রমী মানুষেরা- সমস্ত ব্যাপারটাকেই পাল্টে দিয়েছে। আর নেতৃত্ব তো বলতেই হবে, নেতৃত্ব ছাড়া হয় না।’
Advertisement
মন্ত্রী বলেন, ‘এত পরিবর্তন চারদিকে হচ্ছে, দেখে মোহিত হই, মুগ্ধ হই। কিন্তু মনে মনে কষ্ট পাই, আহারে আমি তো থাকব না এখানে। এই যে বাংলাদেশে আমরা এত কাজ করছি। সবকিছু ওলটপালট করে দিচ্ছি। এটা পূর্ণ প্রস্ফুটিত অবস্থায় দেখার সুযোগ হয়তো আমাদের অনেকেরই হবে না। আক্ষেপ থাকে, ক্ষোভ থাকে, কিন্তু করার কিছু নাই। এটাই নিয়ম।’
পিডি/এনডিএস/পিআর