গ্লেন ম্যাকগ্রা অবসর নেয়ার পর থেকে অস্ট্রেলিয়ার বোলিংয়ের ধারটাই যেন হারিয়ে গেছে। উল্লেখ করার মত কোনো বোলারই জন্ম দিতে পারছে না অস্ট্রেলিয়ার ক্রিকেট। মাঝে মিচেল জনসন কিছুদিন অস্ট্রেলিয়ান বোলিংয়ের নেতৃত্ব দিয়েছেন। কিন্তু বিশ্ব ক্রিকেটে পেসারদের নেতৃত্ব দেয়ার মত যোগ্যতা তার ছিল না।
Advertisement
জনসনের পর মিচেল স্টার্ক, পিটার সিডল কিংবা জস হ্যাজলউডের মত পেসাররা অস্ট্রেলিয়ার বোলিং ডিপার্টমেন্টের নেতৃত্ব দিচ্ছেন। কিন্তু এদের কারোরই যোগ্যতা হয়নি গ্লেন ম্যাকগ্রার সমপর্যায়ে যাওয়ার।
অবশেষে সম্ভবত একজনের হলো। তিনি প্যাট কামিন্স। এই পেসার হয়তো গ্লেন ম্যাকগ্রা হতে পারবেন না। কিন্তু একটা জায়গায় গ্লেন ম্যাকগ্রা এবং অস্ট্রেলিয়ার হারানো গৌরব এবং সম্মান উদ্ধার করতে পেরেছেন তিনি। ২০০৬ সালের পর এই প্রথম কোনো অস্ট্রেলিয়ান বোলার হিসেবে প্যাট কামিন্স উঠে এলেন টেস্ট বোলিংয়ের শীর্ষে।
২০০৬ সালের ফেব্রুয়ারিতে সর্বশেষ আইসিসি র্যাংকিংয়ে শীর্ষে ছিলেন অস্ট্রেলিয়ান কিংবদন্তি গ্লেন ম্যাকগ্রা। এরপর আর কোনো অস্ট্রেলিয়ান এই আসনটি অলঙ্কৃত করতে পারেননি। এবার দুর্দান্ত পারফরম্যান্স দিয়ে শীর্ষ স্থানটি দখল করে নিলেন কামিন্স।
Advertisement
যদিও আজ প্রকাশিত র্যাংকিংয়ে সবচেয়ে সাম্প্রতিক পারফরম্যান্স হিসেবে কামিন্স ছিলেন না। কারণ, তাদের সিরিজ শেষ হয়েছে সেই শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে আরও বেশি কিছুদিন আগে। এখানে বিষয় হচ্ছে, শীর্ষে থাকা বোলার কাগিসো রাবাদা শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে ডারবান টেস্টে ভালো করতে পারেননি। পুরো ম্যাচে মাত্র ৩ উইকেট নিতে পেরেছেন তিনি। যে কারণে পেছনে পড়ে যান রাবাদা এবং শীর্ষে চলে আসেন প্যাট কামিন্স।
রাবাদা একধাপ পেছালেও কথা ছিল। তিনি পিছিয়েছেন দুই ধাপ। অর্থ্যাৎ তিনি চলে গেলেন তৃতীয় স্থানে। ইংলিশ বোলার জেমস অ্যান্ডারসন চলে আসলেন দ্বিতীয় স্থানে।
শ্রীলঙ্কার বাম হাতি পেসার বিশ্ব ফার্নান্দো ২৬ ধাপ এগিয়ে এলেন দক্ষিণ আফ্রিকার বিপক্ষে টেস্ট জয়ের পর। ক্যারিয়ার সেরা ৪৯তম স্থানে রয়েছেন তিনি। পুরো ম্যাচে তিনি নিয়েছেন ৮ উইকেট। অন্য পেসার কাসুন রাজিথা ১০ ধাপ এগিয়ে রয়েছেন ৫৯তম স্থানে এবং অভিষিক্ত বোলার লাসিথ আম্বুলদেনিয়া অর্জন করেছেন ৬৮তম স্থান। দক্ষিণ আফ্রিকার দুয়ানে অলিভিয়ের রয়েছেন ক্যারিয়ার সেরা ২২তম স্থানে।
আইএইচএস/পিআর
Advertisement