সপ্তাহের প্রথম কর্মদিবস রোববার সকাল থেকেই ঝুম বৃষ্টি, সঙ্গে ঝড়ো হাওয়া। নগরে এমননি ঝড়-বৃষ্টি প্রথম ছুঁয়ে গেল বসন্তের প্রকৃতিকে।
Advertisement
আবহাওয়া অধিদফতরের হিসাব অনুযায়ী, ভোর ৬টা থেকে সকাল ৯টা পর্যন্ত ঢাকায় ১৯ মিলিমিটার বৃষ্টিপাত রেকর্ড করা হয়েছে।
ঢাকায় সকাল সাড়ে ৭টার দিকে তুমুল বৃষ্টি নামে। কিছুক্ষণ পর থেমেও যায়। এরপর ১০টার দিকে শুরু হয়ে কয়েক দফা থেমে থেমে বৃষ্টি নামে। আবার বৃষ্টি থেমে গিয়ে পৌনে ১১টার দিকে সূর্যের দেখা মেলে এই নগরে।
তবে এই বৃষ্টি খুব একটা উপভোগের হয়নি নগরবাসীর জন্য, বরং দফায় দফায় সকালের বৃষ্টি অফিসমুখী মানুষের জন্য নিয়ে এসেছে ভোগান্তি। বৃষ্টির কারণে রাজধানীর কোনো কোনো স্থানে দেখা গেছে যানবাহন সঙ্কট, আবার কোথাও দেখা গেলে তীব্র যানজট।
Advertisement
সকাল পৌনে ১০টার দিকে রাজধানীর যাত্রাবাড়ীর রায়েরবাগ বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে দেখা গেছে, গুলিস্তানসহ বিভিন্ন গন্তব্যে যাওয়ার জন্য শত শত মানুষ সড়কে দাঁড়িয়ে আছে, কিন্তু বাসের দেখা নেই। দু-একটি বাস আসলে তাতে ওঠার জন্য যাত্রীরা হুড়মড়িয়ে পড়ছিল।
গুলিস্তানের একটি মার্কেটের বিক্রয়কর্মী শহিদুল ইসলাম এই বাসস্ট্যান্ডে দাঁড়িয়ে ছিলেন। তিনি বলেন, ‘অন্যদিন দেখি এখান থেকে ফ্লাইওভার দিয়ে গুলিস্তান চলাচলকারী শ্রাবণ পরিবহনের বাসগুলো সিরিয়াল দিয়ে দাঁড়িয়ে থাকে। কিন্তু আজ সকালে অনেকক্ষণ পর পর একটা-দুটা করে বাস আসছে। আমি কয়েক দফা চেষ্টা করেও উঠতে পারিনি। বেশি ঝুঁকি নিচ্ছি না। কারণ ভিড়ের মধ্যে মোবাইল মানিব্যাগ হাওয়া হয়ে যাওয়ারও আশঙ্কা অনেক।’
শ্রাবণ পরিবহনের একজন চালক আমজাদ মিয়া জানান, বৃষ্টির কারণে গাড়ি বের হতে দেরি হওয়ায় এই সঙ্কট দেখা দিয়েছে। সকালে শনির আখড়া, কাজলা বাসস্ট্যান্ডে শত শত মানুষকে দাঁড়িয়ে থাকতে দেখা গেছে। এখন গাড়ি বের হতে শুরু করেছে। কিছুক্ষণের মধ্যেই ঠিক হয়ে যাবে।
সকাল ১০টার দিকে বৃষ্টি শুরু হলে মেয়র হানিফ ফ্লাইওভারের ওপরে বিভিন্ন স্থানে (যেখানে ওপরে আরেকটি ফ্লাইওভার ছাউনির মতো হয়ে আছে) মোটরসাইকেল আরোহীদের জড়ো হয়ে আশ্রয় নিতে দেখা গেছে।
Advertisement
এদিকে সকাল সাড়ে ১০টার দিকে রাজধানীর জিরোপয়েন্ট, পল্টন, গোলাপশাহ মাজার মোড়সহ কয়েকটি স্থানে তীব্র যানজট দেখা গেছে।
আরএমএম/এমবিআর/এমএস