অর্থনীতি

অবশেষে মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ বিধিমালা প্রণয়ন

আইন পাস হওয়ার সাত বছর পর ও সংশোধিত আকারে কার্যকর হওয়ার প্রায় ৪ বছর পর মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন, ২০১২ এর বিধিমালা প্রণয়ন হলো।

Advertisement

মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ বিধিমালা ২০১৯ নামে অভিহিত হবে। বিধিমালায় ১২টি অধ্যায় ও ৫৭ ধারা রয়েছে। গত ১৩ ফেব্রুয়ারি (বুধবার) এ সংক্রান্ত প্রজ্ঞাপন জারি করা হয়। অর্থ মন্ত্রণালয়ের আর্থিক প্রতিষ্ঠান বিভাগের সচিব আসাদুল ইসলাম সই করা প্রজ্ঞাপন সূত্রে এ তথ্য জানা যায়। যা ৩১ জানুয়ারি থেকে কার্যকর ধরা হয়েছে।

জানা গেছে, মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইন ২০১২ সালের ২০ ফেব্রুয়ারি পাস হয়। যা ওই বছরের ১৬ জানুয়ারি থেকে কার্যকর ধরা হয়। তখন দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) আইনে একমাত্র ক্ষমতাপ্রাপ্ত সংস্থা হিসেবে দায়িত্ব পালন করেছে। এরপর ২০১৫ সালের ৫ অক্টোবর রাষ্ট্রপতির আদেশক্রমে এক অধ্যাদেশের মাধ্যমে আইনটি সংশোধন হয়। কিন্তু এতোদিনও বিধিমালা প্রণয়ন হয়নি। বিধিমালা ১২টি অধ্যায় ও ৫৭ ধারা দ্বারা সাজানো হয়েছে।

এই বিধিমালায় অপরাধের ২৭টি ধরণ অনুসারে ক্ষমতাপ্রাপ্ত সংস্থাগুলোর বিবরণ তফসিলের ‘তালিকা-১’ এ উল্লেখ করা হয়েছে। মানিলন্ডারিং প্রতিরোধ আইনে বর্ণিত অপরাধ অনুসন্ধান ও তদন্তের জন্য দায়িত্বপ্রাপ্ত নির্ধারিত সংস্থাগুলো হলো-

Advertisement

১. দুর্নীতি ও ঘুষ- দুর্নীতি দমন কমিশন২. মুদ্রা জালকরণ- বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ৩. দলিল দস্তাবেজ জালকরণ- বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ৪. চাঁদাবাজি- বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ৫. প্রতারণা- বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ৬. জালিয়াতি- বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ৭. অবৈধ অস্ত্রের ব্যবসা- বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ৮. অবৈধ মাদক ও নেশাজাতীয় দ্রব্যের ব্যবসা- মাদক দ্রব্য নিয়ন্ত্রণ অধিদপ্তর ও বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ৯. চোরাই ও অন্যান্য দ্রব্যের অবৈধ ব্যবসা- বাংলাদেশ কাস্টমস ও বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ১০. অপহরণ, অবৈধভাবে আটকে রাখা ও পণবন্দী করা- বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ১১. খুন, মারাত্মক শারীরিক ক্ষতি- বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ১২. নারী ও শিশু পাচার- বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ১৩.চোরাকারবার- জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ১৪. দেশি ও বিদেশি মুদ্রা পাচার- জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ১৫. চুরি বা ডাকাতি বা দস্যুতা বা জলদস্যুতা বা বিমান দস্যুতা- বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ১৬. মানব পাচার- বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ১৭. যৌতুক- বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ১৮. চোরাচালানী ও শুল্ক সংক্রান্ত অপরাধ- জাতীয় রাজস্ব বোর্ড ও বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ১৯. কর সংক্রান্ত অপরাধ- জাতীয় রাজস্ব বোর্ড২০. মেধাস্বত্ব লংঘন- বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ২১. সন্ত্রাস ও সন্ত্রাসী কার্যে অর্থ যোগান- বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ২২. ভেজাল বা স্বত্ব লংঘন করে পণ্য উৎপাদন- বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ২৩. পরিবেশগত অপরাধ পরিবেশ অধিদপ্তর- বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ২৪. যৌন নিপীড়ন (সেক্সুয়াল এক্সপ্লয়টেশন)- বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ২৫. পুঁজিবাজার সংক্রান্ত অপরাধ (ইনসাইডার ট্রেডিং এন্ড মার্কেট ম্যানিপুলেশন)- বাংলাদেশ সিকিউরিটিজ এন্ডএক্সচেঞ্জ কমিশন।২৬. সংঘবদ্ধ অপরাধ- বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ২৭. ভীতি প্রদর্শনের মাধ্যমে অর্থ আদায়- বাংলাদেশ পুলিশের অপরাধ তদন্ত বিভাগ

এমইউএইচ/জেএইচ/এমএস