কাশ্মীরে পুলওয়ামার জঙ্গি হামলার প্রতিবাদে শনিবার রাজপথে নামলেন ভারতের পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। দেশটির হাজরা থেকে তার নেতৃত্বে শুরু হয় মোমবাতি মিছিল। শেষ হয় ধর্মতলার গান্ধী মূর্তিতে। ছিলেন তৃণমূলের একাধিক শীর্ষ নেতা। পা মেলান আরও অনেকে। মুখে কালো কাপড় বেঁধে রাস্তায় নামেন তারা।
Advertisement
এর আগেই প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির বিরুদ্ধে ক্ষোভ উগড়ে দেন মুখ্যমন্ত্রী। হামলার জন্য নিরাপত্তায় গাফিলতি এবং গোয়েন্দাদের ব্যর্থতা দাবি করে মমতা বলেছেন, এমন একটা ঘটনার পর বিভিন্ন কর্মসূচি বাতিল হয়ে যায়। কিন্ত প্রধানমন্ত্রী রেল প্রকল্পের উদ্বোধন করছেন। মোদিকে আক্রমণের পাশাপাশি তিন দিনের শোক পালনেরও দাবি করেন মমতা।
তবে এদিন মিছিলের শেষে আর রাজনৈতিক বিতর্কে জড়াননি মমতা। তিনি বলেন, আমরা শহিদ জওয়ানদের পাশে আছি। কাল শান্তি মিছিল করবেন। সব ব্লকে ২টা থেকে ৩টা মিছিল হবে। কোনও রাজনৈতিক কথা বলব না। গোটা দেশ এক হয়ে আছে। আমরা কোনও মাইক ব্যবহার করব না। দেশ এক হয়ে লড়লে ভালো লড়াই হবে। আমাদের সবাইকে এক হয়ে লড়তে হবে। সন্ত্রাসের কোনও ধর্ম হয় না।
এদিকে, জঙ্গি হামলার পর ভারতের সংসদে সর্বদলীয় বৈঠক হয়। কাশ্মীরের পুলওয়ামায় বৃহস্পতিবার জঙ্গি হামলা হয়। তাতে মৃত্যু হয়েছে প্রায় ৪০ জনেরও বেশি সিআরপিএফ জওয়ানের। কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী রাজনাথ সিং এই বৈঠকটির ডাকেন। বৈঠকে ঠিক হয়েছে এক স্বরেই হোক প্রতিবাদ। জঙ্গি হামলা রুখতে একজোট হয়ে মোকাবেলার কথাই উঠে এল সর্বদলীয় বৈঠকে। কংগ্রেসের রাজ্যসভার নেতা গুলাম নবি আজাদ, আনন্দ শর্মা, জ্যোতিরাদিত্য সিন্ধিয়া, এনসিপির শরদ পাওয়ার, তৃণমূলের সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়, ডেরেক ‘ ও ব্রায়েন, ন্যাশনাল কনফারেন্সের নেতা কাশ্মীরের মুখ্যমন্ত্রী ফারুক আব্দুল্লাহ, শিবসেনার মুখপাত্র সঞ্জয় রাউত, লোক জনশক্তি পার্টির নেতা তথা কেন্দ্রীয় মন্ত্রী ভিলাস পাসোওয়ান এবং আরেক কেন্দ্রীয় মন্ত্রী নরন্দ্রে সিং তোমার বৈঠকে যোগ দেন। বৈঠকে সব দলই বলে রাজনৈতিক বিতর্ক বাদ রেখে সবাইকে একজোট হয়ে লড়তে হবে।
Advertisement
সূত্র : এনডিটিভি
জেডএ