দেশজুড়ে

গরিবে নেওয়াজের সেই রশিদকে দেখতে হোটেলে ভিড়

সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে সেই আব্দুর রশিদের হোটেলে ভিড় বেড়েছে। কেউ যাচ্ছেন তাকে ধন্যবাদ জানাতে, কেউ যাচ্ছেন ‘গরিবে নেওয়াজ’ হোটেলটি দেখতে। কেউ আব্দুর রশিদের হোটেলের খাবার খেতে। সবমিলিয়ে আব্দুর রশিদ এখন ব্যস্ত সময় পার করছেন। তবে তার বিক্রি বেড়েছে বলে তিনি জানিয়েছেন।

Advertisement

১৩ ফেব্রুয়ারি জাগো নিউজে ‘টাকা লাগবে না, বিনামূল্যে খেয়ে যান’ শিরোনামে সংবাদ প্রকাশ হলে অনেক পাঠকের আগ্রহ জাগে আব্দুর রশিদের হোটেলে যাওয়ার এবং সেখানে একবেলা খাওয়ার।

আব্দুর রশিদের সেই হোটেলের সামনে ছোট একটি সাইনবোর্ডে লেখা রয়েছে, হোটেল গরিবে নেওয়াজ, তেল মাথায় দেন, গামছা নেন, গোসল করেন, ভাত খান, পয়সা থাকলেও খাবেন, না থাকলেও খাবেন।

সাতক্ষীরার দেবহাটা উপজেলার কুলিয়া ইউনিয়নের চরবালিথা গ্রামের বাসিন্দা আব্দুর রশিদ সরদার। স্ত্রী ফজিলা খাতুন ও ছেলে সাগরকে নিয়ে বর্তমানে থাকেন সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে ছোট হোটেলের মধ্যেই।

Advertisement

শনিবার বেলা ১১টার দিকে সাতক্ষীরা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের সামনে হোটেল ‘গরিবে নেওয়াজে’ পুনরায় কথা হয় আব্দুর রশিদের সঙ্গে।

জাগো নিউজকে তিনি জানান, সংবাদটি প্রকাশ হওয়ার পর বিভিন্ন মানুষ এসেছে। রাস্তা দিয়ে কেউ যাওয়ার সময় এসে বলছেন, চাচা আপনাকে ধন্যবাদ। আপনি গরিব হয়েও কীভাবে মানুষের পাশে দাঁড়ান সংবাদে দেখেছি। বুধবার রাত থেকেই বিভিন্ন মানুষ আসছেন। সাক্ষাৎকার নিচ্ছেন টিভির লোকজন। প্রশংসা করছেন সকলেই।

তিনি আরও বলেন, আমি ফেসবুক অনলাইন বুঝি না। তবে সব মানুষ এসে বলছেন, চাচা আপনাকে দেখেছি অনলাইনে, ফেসবুকে। শুক্রবার খুলনা থেকে এসেছিল ৬ যুবক। তারা বলছে, চাচা আমরা আপনার ভক্ত হয়ে গেছি। হোটেল থেকে খেয়ে গেছে তারা। এছাড়া যারা আগে হোটেলের সামনে দিয়ে যেত কিন্তু কখনও আসেনি তারাও এখন আমার এখানে এসে খাবার খাচ্ছেন। আগে এক হাজার থেকে দেড় হাজার টাকা কেনাবেচা হতো। গত দুই দিনে তিন হাজার টাকার বেশি বিক্রি হচ্ছে। আমি খুব খুশি।

অসহায় বিপদগ্রস্ত মানুষদের বিনামূল্যে খাবার খাওয়ানো অব্যাহত রাখবেন জানিয়ে আব্দুর রশিদ বলেন, কেউ আমাকে তার বিপদের কথা জানালে আমি অবশ্যই তাকে দেখবো আমার সাধ্য মতো। সংবাদ প্রকাশের পর বিভিন্ন মানুষের আগমনে আমার উৎসাহ আরও বেড়ে গেছে। আমি গরিব মানুষ এর থেকে বড় পাওয়ার আমার আর কিছু নেই।

Advertisement

আকরামুল ইসলাম/এমএএস/এমকেএইচ