আত্মসমর্পণে না এসে ঘাপটি মেরে থাকা ইয়াবা ব্যবসায়ীদের কঠোর বার্তা দিয়েছেন পুলিশের মহাপরিদর্শক (আইজিপি) ড. মোহাম্মদ জাবেদ পাটোয়ারী।
Advertisement
তিনি বলেছেন, নিজেরা শুধরাতে না এলে কপালে খারাপি আছে।পরবর্তী সময়ে সব ধরণের মাদকের বিরুদ্ধে ঝাঁপিয়ে পড়বে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। তখন হয়তো স্বাভাবিক জীবনে ফেরার সুযোগ নাও আসতে পারে। তাই ইয়াবা ব্যবসায় অভিযুক্ত ব্যক্তিদের আত্মসমর্পণের আহ্বান জানাচ্ছি। পাশাপাশি স্বজনদের প্রতিও অনুরোধ জানাচ্ছি আপনারা আপনাদের স্বজনদের আত্মসমর্পণে উদ্বুদ্ধ করুন।
শনিবার দুপুর ১২টার দিকে টেকনাফ পাইলট হাইস্কুল মাঠে আয়োজিত আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে আইজিপি এসব কথা বলেন।
তিনি আরও বলেন, পর্যটন এলাকা হিসেবে বিশ্বময় কক্সবাজারের একটি সুনাম রয়েছে। এখানে সরকারের লাখো কোটি টাকার মেগা প্রকল্প চলছে। এত কিছুর পরও কক্সবাজারের সঙ্গে ইয়াবার একটি দুর্নাম লেগে আছে। এটি লজ্জার। এ থেকে পরিত্রাণ পেতে হলে সবাইকে এক সঙ্গে কাজ করতে হবে।
Advertisement
সুন্দর সমাজ বিনির্মাণে সমাজের সবাইকে এগিয়ে আসার আহ্বান জানিয়ে আইজিপি বলেন, পুলিশ-বিজিবি-কোস্টগার্ড এদের একার পক্ষে মাদক নির্মূল সম্ভব নয়। এলাকার জনপ্রতিনিধি, সমাজপতি, পরিবারের কর্তাব্যক্তি এবং যুবসমাজ এগিয়ে এলেই কেবল এটি সম্ভব।
কক্সবাজারের পুলিশ সুপার এ বি এম মাসুদ হোসেনের সভাপতিত্বে আত্মসমর্পণ অনুষ্ঠানে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, পুলিশের চট্টগ্রাম রেঞ্জের ডিআইজি খন্দকার গোলাম ফারুক, অতিরিক্ত ডিআইজি (অপারেশন অ্যান্ড ক্রাইম) মোহাম্মদ আবুল ফয়েজ, কক্সবাজার জেলার চারটি আসনের সংসদ সদস্য জাফর আলম, আলহাজ আশেকউল্লাহ রফিক, আলহাজ সাইমুম সরওয়ার কমল, শাহীন আক্তার চৌধুরী, জেলা প্রশাসক মো. কামাল হোসেন, জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অ্যাডভোকেট সিরাজুল মোস্তফা, সাধারণ সম্পাদক মুজিবুর রহমান রহমান প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।
অনুষ্ঠানে ২৯ জন ইয়াবা গডফাদারসহ ১০২ ইয়াবা ব্যবসায়ী আত্মসমর্পণ করেছেন। এসময় তারা ৩ লাখ ৫০ হাজার ইয়াবা ও ৩০টি দেশীয় পিস্তলও জমা দিয়েছেন। আত্মসমর্পণের পর তাদেরকে আনুষ্ঠানিকভাবে পুলিশের হেফাজতে নেয়া হয়েছে।
সায়ীদ আলমগীর/আরএআর/এমএস
Advertisement