একুশে বইমেলা

‘তরুণ প্রকাশক হিসেবে তরুণ লেখকদের বই প্রকাশে আমি খুবই যত্নবান।’

মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ তরুণ প্রজন্মের প্রকাশক। তিনি বাংলাদেশ জ্ঞান ও সৃজনশীল প্রকাশক সমিতির পরিচালক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করছেন। তার প্রকাশনা সংস্থার নাম ‘স্বরবৃত্ত প্রকাশন’। শুধু ব্যবসায়িক দৃষ্টিকোণ থেকে নয় শিল্প-সাহিত্যের প্রতি দায়বদ্ধতা থেকে তিনি প্রকাশনা জগতে এসেছেন। বইমেলায় তার প্রকশনার নানা বিষয় নিয়ে জাগো নিউজের মুখোমুখি হয়েছেন-

Advertisement

জাগো নিউজ : প্রকাশনা জগতে আপনার যাত্রা কবে থেকে?

মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ: আমি ২০০৮ সাল থেকে বইমেলায় নিয়মিত অংশগ্রহণ করে আসছি। এখন প্রকাশনার বয়স প্রায় একযুগ। বইমেলার প্রতি আমার আলদা একটা ভালোবাসা তৈরি হয়েছে। আমি মেলার জন্য সারা বছর অপেক্ষায় থাকি।

জাগো নিউজ: এবারের বইমেলা নিয়ে আপনার মতামত জানতে চাই,-

Advertisement

মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ: অমর একুশে বইমেলা আসলেই আমাদের প্রাণের মেলায় রূপ নিয়েছে। মেলাকে ঘিরে মানুষের মাঝে গভীর আবেগ-অনুরাগ তৈরি হয়েছে। সে কারণেই প্রতি বছর এ মেলার পরিসর বাড়ছে। পাশাপাশি বইমেলার সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে নতুন নতুন নানা আয়োজন। এ বছর এরও তার ব্যত্তয় ঘটেনি। মেলায় এলেই পাঠকরা বইমেলার নতুনত্ব দেখতে পাবেন।

জাগো নিউজ: বাংলা একাডেমি কর্তৃপক্ষের কাছে বইমেলায় নিয়ে আপনার কোনো পরামর্শ আছে কি?

মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ: আসলে পরামর্শ দিলে তো অনেক কিছুই দেয়া যায়। আমাদের বুঝতে হবে বাংলা একাডেমিরও অনেক সীমাবদ্ধতা আছে। তাদের একটা নির্দিষ্ট বাজেট থাকে, এরই মধ্যে বইমেলার সমস্ত কাজ সম্পন্ন করতে হয়। তবে বাংলা একাডেমির প্রতি আমার একটা পরামর্শ হচ্ছে ,- মেলাকে সম্পূর্ণ ধুলাবালি মুক্ত রাখার ব্যবস্থা করা। বিগত বছরগুলোতেও বইমেলা ধুলামুক্ত রাখার কথা বললেও মেলাকে পুরোপুরি ধুলামুক্ত রাখতে পারেনি বাংলা একাডেমি। আমার মনে হয় মেলাকে ধুলামুক্ত রাখতে পারলে আরও বেশি পাঠক মেলায় আসবে। সেই সঙ্গে পাঠকার বেশি সময় অবস্থান করে পছন্দের বই কিনতে পারবেন।

জাগো নিউজ: এবারের বইমেলা নিয়ে আপনার প্রকাশনার আয়োজন সম্পর্কে বলুন,-

Advertisement

মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ: প্রতিবারের ন্যায় এবারে মেলাতেও আমি ২৫-৩০ নতুন বই প্রকাশ করেছি। অন্যদিকে বিগত বছরগুলোতে প্রকাশিত ৫০০ শতাধিক বইও স্টলে শোভা পাচ্ছে।

জাগো নিউজ: আপনার প্রকাশনী থেকে কোন ধরনের বই প্রকাশের জন্য গুরুত্ব দিয়ে থাকেন?

মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ: মুক্তিযুদ্ধ, ইতিহাস-ঐতিহ্য ও প্রত্নত্ত্ববিষয়ক বই প্রকাশের ক্ষেত্রে আমি প্রাধান্য দিয়ে থাকি। তাছাড়া গল্প ও উপন্যাসের বই প্রকাশেও আমি গুরুত্ব দিই।

জাগো নিউজ : তরুণ লেখকদের বই প্রকাশের ক্ষেত্রে আপনি কতটা গুরুত্ব দেন?

মোহাম্মদ রহমত উল্লাহ: আমি তরুণ প্রকাশক হিসেবে তরুণ লেখকদের বই প্রকাশের খুবই যত্নবান। তরুণদের লেখা ভালো পাণ্ডুলিপি পেলে আমি ভীষণ আগ্রহ নিয়ে তা প্রকাশ করি। কারণ আমি বিশ্বাস করি আজকের তরুণ লেখকরাই আগামীদিনের বাংলাসাহিত্যকে নেতৃত্ব দেবে।

এএ/এমকেএইচ