বিশেষ প্রতিবেদন

অন্তহীন ভোগান্তির পরও হজক্যাম্পে দিনাতিপাত

গত ১৮ আগস্ট থেকে বৃদ্ধ মা আর স্ত্রীকে নিয়ে হজক্যাম্পের মেঝেতে দিনাতিপাত করছেন দিনাজপুরের মকসুদার রহমান। এখনো জানেন না কবে তার ফ্লাইট। সব ব্যবস্থাপনার দায়িত্ব হজ এজেন্সির হলেও খাওয়া-থাকাসহ সবই করতে হচ্ছে তার নিজ খরচে। সব কোরবানিই করতে প্রস্তুত তবুও যেন যথাসম্ভব তাড়াতাড়ি আমাদের আল্লাহর ঘরে যাবার সুযোগ করে দেন।মলিন মুখে হজক্যাম্পের ডরমেটরিতে বসে এক নিঃস্বাসে কথাগুলো বললেন বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মকর্তা দিনাজপুরের বাসিন্দা মকসুদার রহমান (৫৫)। বৃদ্ধ মা এবং স্ত্রীকে নিয়ে ১৮ আগস্ট রাত থেকে হজক্যাম্পে অবস্থান করছেন তিনি। ‘ছিদরাত ট্যুার অ্যন্ড ট্রাভেলস (১৪০৪)’ নামে একটি হজ এজেন্সির মাধ্যমে পবিত্র হজে যাবার উদ্দেশ্যে এসেছেন তারা। এজেন্টের প্রতিনিধি রবিউল ২০ আগস্ট কনফার্ম ফ্লাইটের কথা বলে তাদের দিনাজপুর থেকে আশকোনার হজক্যাম্পে নিয়ে আসেন। পরে বলেন, টিকিট পাওয়া যাচ্ছে না। আগামী ২৬ আগস্টের (বুধবার) আগে ফ্লাইট দেয়া যাবে না বলে জানান রবিউল।বুধবার (২৬ আগস্ট) পার হয়ে যাচ্ছে, এত ভোগান্তির পর আজও কেন কথামতো ফ্লাইট দিতে পারলেন না। জানতে চাইলে ‘ছিদরাত ট্যুার অ্যান্ড ট্রাভেলস’র মালিক মোফাজ্জল হোসেন জাগো নিউজকে বলেন, ২১ আগস্ট টিকিট বুক ছিল। আগেও বলেছি আমার ব্যবসায়িক অংশীদার ‘বারাকাত ট্রাভেলস’ ২০ আগস্ট টিকিট দিতে পারেনি। প্রতিদিন দু-একজন করে পাঠাচ্ছি। সবাই যেতে পারবে।এদিকে বাংলাদেশ রেলওয়ের কর্মকর্তা মকসুদার রহমান জানিয়েছেন, একদিনও ছুটি বাড়ানো যাবে না এমন শর্তে ২০ আগস্ট থেকে ছুটি নিয়েছি। নির্ধারিত ছুটির অনেক দিনই কাটালাম হজক্যাম্পে। জানি না কী হবে।একই দুর্দশা ও অভিজ্ঞতার কথা জানালেন ‘মিনার ট্রাভেল অ্যান্ড ট্যুরস’ এর সোলায়মান মিয়া এবং আহমদ আলী। তাদেরকে নিয়ে আসা হয়েছে দিনাজপুর থেকে। কবে ফ্লাইট তারা জানে না। চারদিন ধরে হজক্যাম্পে মানবেতর জীবনযাপন করছেন তারা।আরএম/বিএ 

Advertisement