খেলাধুলা

বিপিএলে তিন বোলারের অ্যাকশন প্রশ্নবিদ্ধ

এবারের বিপিএলে নেট বোলার থেকে রংপুর রাইডার্সের বিপক্ষে হঠাৎই আলিস আল ইসলামকে মাঠে নামিয়ে দিয়েছিলো ঢাকা ডায়নামাইটস। মাঠে নেমেই বাজিমাত করে দিলেন এই স্পিনার। প্রথম ম্যাচেই করে ফেললেন হ্যাটট্রিক। অসাধারণ এক জয় এনে দিলেন ঢাকা ডায়নামাইটসকে।

Advertisement

কিন্তু ম্যাচ শেষ হতে না হতেই হ্যাটট্রিকের আনন্দ বিষাদে পরিণত হলো আলিস আল ইসলামের জন্য। কারণ, রংপুর রাইডার্স অভিযোগ তুলে দিয়েছে এই স্পিনারের বোলিং অ্যাকশন সন্দেহজনক। পরে আম্পায়ারদের রিপোর্টেও উঠে এসেছে সন্দেহজনক অ্যাকশনের বিষয়টি। ঢাকা ডায়ানামাইটস আর আলিস আল ইসলামকে এরপর আর মাত্র তিন ম্যাচে মাঠে নামিয়েছেল।

তবে আলিস আল ইসলামই নয় শুধু, এবারের বিপিএলে মোট তিনজনের বোলিং অ্যাকশন সন্দেহজনক বলে উঠে এসেছে আম্পায়ারদের রিপোর্টে। সেই রিপোর্ট এখন রয়েছে বিসিবির বোলিং রিভিউ কমিটির প্রধান নাসির আহমেদ নাসুর কাছে।

আলিস আল ইসলামছাড়াও সন্দেহজনক বোলিং অ্যাকশনের জন্য অভিযুক্ত হয়েছেন কুমিল্লা ভিক্টোরিয়ান্সের বাঁ-হাতি স্পিনার সঞ্জিত সাহা এবং রংপুর রাইডার্সের অফ স্পিনার নাহিদুল ইসলাম। এর মধ্যে নাহিদুল ইসলামের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ গুরুতর। তার প্রতিটি বলের অ্যাকশনই সন্দেহজনক মনে হয়েছে আম্পায়ারদের কাছে। বাকি দু’জনের অ্যাকশন নির্দিষ্ট ডেলিভারি নিয়ে।

Advertisement

বিসিবির বোলিং রিভিউ কমিটির প্রধান নাসির আহমেদ নাসু মিডিয়াকে বলেন, ‘আলিস ও সঞ্জিতের বিশেষ কয়েকটি ডেলিভারি সন্দেহজনক মনে হয়েছে। তবে নাহিদের সব ডেলিভারিই সন্দেহযুক্ত।’

তিন অভিযুক্ত বোলারের অ্যাকশন শোধরানোর কাজ দ্রুতই শুরু করা হবে বলে জানালেন বিসিবির এই কর্মকর্তা। তিনি বলেন, ‘ওদের নিয়ে আগামী সপ্তাহেই কাজ শুরু করব। যদি এতে উতরে যায় তাহলে তো ভালোই। নয়তো অ্যাকশন শোধরানোর দীর্ঘ প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে যেতে হবে ওদের।’

বোলিং অ্যাকশনের বিষয়ে বেশ কঠোর বিসিবি। এ কারণে, সন্দেহজনক অ্যাকশনের বোলারদের অ্যাকশন পুরোপুরি না শোধরানো পর্যন্ত ঘরোয়া ক্রিকেটেও তাদের বোলিং করার সুযোগ দেবে না দেশের ক্রিকেটের অভিভাবক সংস্থাটি। যদিও তারা ব্যাটসম্যান হিসেবে খেলতে পারবেন।

প্রসঙ্গতঃ ২০১৬ যুব বিশ্বকাপের সময়ও একই অভিযোগ অভিযুক্ত হয়েছিলেন সঞ্জিত সাহা।

Advertisement

আইএইচএস/এমএস