‘দুঃখ বেদনায় নেত্রীকে বলতে চাই, বরিশালে যুবদলের কোনো কমিটি নাই। অবৈধ সরকারের বিরুদ্ধে আন্দোলন বেগবান করার জন্য বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া এবং তৃণমূলের নেতা তারেক রহমানের কাছে অবিলম্বে বরিশাল জেলা ও মহানগর যুবদলের কমিটি চাই।’কেন্দ্র থেকে তৃণমূলের কমিটিগুলো সম্মেলনের মাধ্যমে হালনাগাদের তাগাদা দেয়ায় নড়েচড়ে বসেছে বরিশালের যুবদল কর্মীরা। কেন্দ্রের এই নির্দেশনার ফলে আশার আলো দেখছেন তারা। তাই তৃণমূলের দাবি সম্বলিত এমনই লেখা দু’টি ব্যানারে বুধবার দুপুরে টানানো হয়েছে নগরীর সদর রোডের দলীয় কার্যালয়ে।ব্যানারে কবিতার ভাষায় ছন্দ মিলিয়ে তাদের দাবি কেন্দ্রের কাছে তুলে ধরা হয়। এর কারণ বরিশাল যুবদলের বর্তমান অবস্থা বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার নজরে আনতে এ কৌশল অবলম্বন করা হয়েছে বলে জানান দলের তৃনমূল নেতাকর্মীরা। ব্যানারের নিচের অংশে লেখা হয়েছে, প্রচারেঃ দীর্ঘ আকাঙ্খিত বরিশাল মহানগর ও জেলা যুবদলের তৃণমূলের নেতাকর্মীবৃন্দ।দাবির বিষয় জানতে চাইলে মহানগর যুবদলের পাল্টা কমিটির যুগ্ম আহ্বায়ক কামরুল হাসান রতন ও মো. আলাউদ্দিন আহম্মেদ বলেন, কে বা কারা ওই ব্যানার টানিয়েছে তা তারা জানেন না। তবে জেলা ও মহানগর যুবদলের কমিটি হালনাগাদ করার দাবি তৃণমূলের সব নেতাকর্মীর। এই ব্যানারে উল্লেখিত দাবি যাতে বেগম খালেদা জিয়া এবং তারেক রহমানের কানে পৌঁছায় এবং তারা যাতে অনতি বিলম্বে তৃণমূলের পরীক্ষিত নেতা কর্মীদের মধ্য থেকে বাছাই করে জেলা ও মহানগরে যোগ্যদের হাতে নতুন কমিটির দায়িত্ব দেন, সেটা যুবদলের সবার প্রাণের দাবি।দলের দায়িত্বশীল সূত্র জানায়, ২০০৭ সালে তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় কেন্দ্রীয় যুবদল সভাপতি সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলালের অনুসারী রফিকুল ইসলাম শাহীনকে সভাপতি এবং আকতারুজ্জামান শামীমকে সাধারণ সম্পাদক করে মহানগর যুবদলের একটি কমিটি গঠন করা হয়।এর পাল্টা হিসেবে মহানগর বিএনপির সভাপতি মজিবর রহমান সরোয়ার তার অনুসারী ওয়ার্ড কাউন্সিলর জিয়াউদ্দিন সিকদার জিয়াকে আহ্বায়ক এবং মীর জাহিদুল কবির, কামরুল হাসান রতন, মো. আলাউদ্দিন আহম্মেদ, মাহফুজুর রহমান মাহফুজ ও আরিফুর রহমান বাবুকে যুগ্ম আহ্বায়ক করে একটি পাল্টা কমিটি গঠন করেন। বিগত দিনে পাল্টা কমিটির নেতাকর্মীদের কিছু তৎপরতা থাকলেও মান-অভিমানে একেবারে নিষ্প্রভ ছিল আলাল অনুসারীরা। এমনকি তারেক রহমানের নামে থাকা মামলা প্রত্যাহারের দাবিতে দেশব্যাপি যুবদলের কর্মসূচি পালিত হলেও বরিশালে যুবদলের কোনো কর্মসূচি দেখা যায়নি।এদিকে, একই বছর নজরুল ইসলাম খান রাজনকে সভাপতি এবং শাহেদ আকন সম্রাটকে সাধারণ সম্পাদক করে জেলা (দক্ষিণ) যুবদলের কমিটি গঠন করা হয়। রাজনকে বিএনপিতে পদোন্নতি দেয়ার পর শূন্য পদে সহ-সভাপতি খাজা মো. ইকবালকে জেলা যুবদলের ভারপ্রাপ্ত সভাপতি করা হয়। কিন্তু এই কমিটিরও কোনো তৎপরতা দেখা যায়নি।সাইফ আমীন/বিএ
Advertisement