যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রীর দায়িত্ব নেয়ার পর গত ৮ জানুয়ারি জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সভাকক্ষে সব ক্রীড়া ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকের সঙ্গে মত বিনিময় করেছিলেন মো. জাহিদ আহসান রাসেল এমপি। জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের অধিনস্থ ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশনগুলোর শীর্ষ কর্মকর্তাদের সঙ্গে প্রথম বৈঠকে ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী তাদেরকে আহবান করেছিলেন লিখিতভাবে পরিকল্পনা জমা দিতে। কিন্তু এক মাস এক সপ্তাহ চলে গেলেও তেমন সাড়া মেলেনি মন্ত্রীর আহবানে।
Advertisement
দিন চারেক আগে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব মো. মাসুদ করিম বলেছিলেন, তারা কিছু ফেডারেশনের কাছ থেকে পরিকল্পনা পেয়েছেন। বুধবার একই কথা বলেছেন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব। তবে সেই কয়েকটি ফেডারেশন কারা তা জানাতে পারেননি। সংশ্লিষ্ট বিভাগগুলোয় খোঁজ নিয়ে কোনো ফেডারেশনের পরিকল্পনা জমা দেয়ার তথ্যও মেলেনি।
তবে নাম না প্রকাশের শর্তে একটি অ্যাসোসিয়েশনের সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, তিনি মন্ত্রীর নির্দেশের এক সপ্তাহের মধ্যেই লিখিতভাবে পরিকল্পনা জাতীয় ক্রীড়া পরিষদে জমা দিয়েছেন। ওই সাধারণ সম্পাদকের অভিযোগ-জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের ডেসপাস বিভাগে কোনো চিঠি দিলে তার অনেকটাই সংশ্লিষ্ট বিভাগ বা কর্মকর্তার কাছে সময়মতো পৌঁছায় না।
দেশে এখন ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশন মিলে ৫৩। এর মধ্যে হাতে গোনা দু’একটি তাদের পরিকল্পনা জমা দিলেও তাতে সন্তুষ্ট নন জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের সচিব মো. মাসুদ করিম। তাগাদা হিসেবে তিনি নতুন করে ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশনগুলোকে চিঠি দেবেন বলে জানিয়েছেন জাগো নিউজকে, ‘আমরা প্রত্যেক ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশনকে চিঠি দিয়ে তাদের পরিকল্পনা জমা দিতে বলবো। চিঠির খসড়া মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়েছে। সেখান থেকে ওকে হলেই দ্রুত চিঠি ইস্যু করা হবে।’
Advertisement
গত ৭ ফেব্রুয়ারি যুব ও ক্রীড়া প্রতিমন্ত্রী মো. জাহিদ আহসান রাসেলের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত হয়েছে সরকারের ইশতেহার বাস্তবায়ন বিষয়ে যুব ও ক্রীড়া মন্ত্রণালয়ের প্রথম সভা। সে সভাতেই ফেডারেশনগুলোকে পরিকল্পনা প্রেরণের নির্দেশের বিষয়টি উঠেছিল। আশানুরূপ সাড়া না পাওয়ায় ফেডারেশনগুলোকে চিঠি দিয়ে তাদের পরিকল্পনা, সমস্যা ও চাহিদাগুলো পাঠানোর নির্দেশ দেয়ার সিদ্ধান্ত হয়েছে।
ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশনগুলো বছরব্যাপী অভিযোগের বাক্স নিয়ে বসে থাকে-জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ নাকি তাদের জন্য তেমন কিছু করে না। কিন্তু দেশের খেলাধুলার অভিভাবক নিজে যখন সবাইকে এক ছাদের নিচে ডেকে তাদের পরিকল্পনা চাইলেন তখন সবাই ঘুমিয়ে-যেভাবে বছরের পর বছর পার করে দেন অনেক ফেডারেশনের কর্মকর্তারা।
ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশনের সংখ্যা ৫০ ছাড়িয়ে যাওয়ায় জাতীয় ক্রীড়া পরিষদের পক্ষে সবগুলোকে পৃষ্ঠপোষকতা করাও কঠিন হয়ে পড়েছে। তাই তো যেসব খেলায় আন্তর্জাতিকভাবে সাফল্য পাওয়ার সম্ভাবনা আছে, সেগুলোকে প্রাধান্য দিয়ে পৃষ্ঠপোষকতা করবে সরকার। ফেডারেশন ও অ্যাসোসিয়েশনগুলোকে কয়েকটি ক্যাটাগরিতে ভাগ করে অগ্রাধিকার ভিত্তিতে অনুদান দেয়ার বিষয়টি গুরুত্ব সহকারে ভাবছে জাতীয় ক্রীড়া পরিষদ।
আরআই/এমএমআর/জেআইএম
Advertisement