ইরাক ও সিরিয়ার বেশ কিছু অংশ নিয়ন্ত্রণকারী ইসলামিক স্টেটের (আইএস) বিরুদ্ধে যুক্তরাষ্ট্র নেতৃত্বাধীন সামরিক অভিযানে যোগ দিচ্ছে না বাংলাদেশ। তবে ওই অঞ্চলে মানবিক সহায়তা কার্যক্রমে জাতিসংঘের নেতৃত্বে কোনো কর্মসূচি গ্রহণ করা হলে তাতে অংশ নিতে আপত্তি নেই বলে জানিয়েছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ এইচ মাহমুদ আলী। আন্তর্জাতিক জঙ্গি সংগঠন আলকায়েদা দুর্বল হওয়ার প্রেক্ষাপটে মধ্যপ্রাচ্যে সম্প্রতি সক্রিয় হয়ে উঠেছে আইএস। সিরিয়া ও ইরাকের কিছু অংশের নিয়ন্ত্রণ নিয়ে তারা ইসলামী খিলাফত (রাষ্ট্র) ঘোষণা করেছে। আইএস রুখতে যুক্তরাষ্ট্রের নেতৃত্বে যে অভিযান শুরু হয়েছে, তাতে যুক্তরাজ্য, ফ্রান্স, অস্ট্রেলিয়ার সঙ্গে মধ্যপ্রাচ্যের কয়েকটি দেশ যোগ দিয়েছে। এরপর গত ২৫ সেপ্টেম্বর জাতিসংঘের ৬৯তম সাধারণ অধিবেশনের সময় নিরাপত্তা পরিষদ আইএস নিয়ে একটি বিশেষ বৈঠক করে, যাতে অনেক দেশের সঙ্গে বাংলাদেশও অংশ নেয়। আইএস-এর বিরুদ্ধে ওই অভিযানে বাংলাদেশও যোগ দিচ্ছে কিনা- মঙ্গলবার পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে এমন প্রশ্নের জবাবে মাহমুদ আলী বলেন, ‘ইরাক-সিরিয়ার স্বাধীনতা, সার্বভৌমত্বে বিশ্বাস করে বাংলাদেশ, আমরা চাই এটা সংরক্ষণ করা হোক। সন্ত্রাসবাদ সম্বন্ধে বাংলাদেশের অবস্থান তো পরিষ্কার। বাংলাদেশ সরকার সন্ত্রাসবাদ নিয়ে ‘জিরো টলারেন্সের’ কথা বরাবরই বলে আসছে।’ পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বাংলাদেশের মাটি কোনো দেশের বিরুদ্ধে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে ব্যবহৃত হতে দেবে না। আইএসবিরোধী যুদ্ধে আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের সঙ্গে যোগ দেবে না ঢাকা। তবে জাতিসংঘের নেতৃত্বে সেখানকার (ইরাক-সিরিয়া) জনগণের জন্য মানবিক সহায়তা কার্যক্রম হাতে নেওয়া হলে আমরা (বাংলাদেশ) সেটায় অংশ নেব।’
Advertisement