চলতি সপ্তাহে ভারতীয় রুপির ব্যাপক মূল্যপতন হয়েছে। সোমবার সর্বশেষ ভারতীয় ১০০ রুপির দাম ছিল একশ ১৫ টাকা। খবর বিবিসি।ভারতীয় অর্থনীতিবিদদের বরাত দিয়ে বিবিসি জানায়, বৈদেশিক মুদ্রার বাজারে বাংলাদেশি টাকা ডলারের বিপরীতে বেশি ‘রেজিলিয়েন্স’ বা দৃঢ়তা দেখাতে পেরেছে বলেই রুপির তুলনায় তার দর বেড়েছে।বিশেষজ্ঞরা বলছেন, এই প্রবণতা বজায় থাকলে বাংলাদেশে ভারতের রফতানি আরো বাড়বে এবং বাংলাদেশ থেকে যারা পর্যটন বা চিকিৎসার জন্য ভারতে আসেন তাদের সুবিধা হবে।বিবিসির প্রতিবেদনে বলা হয়, এ সপ্তাহে মার্কিন ডলারের বিপরীতে ভারতীয় রুপির দাম পাঁচ শতাংশ কমে গেলেও বাংলাদেশি টাকার পতন হয়েছে নামেমাত্র। এতে করে রুপির বিপরীতে টাকার দাম এক লাফে বেড়েছে অনেকটা।আন্তর্জাতিক আর্থিক গবেষণা সংস্থা থিঙ্কট্যাঙ্ক ইকরিয়ের গবেষক ড: অর্পিতা মুখার্জী জানান, ভারত-বাংলাদেশের মধ্যে বাণিজ্যটা ডলারে হয় বলেই রুপির পতনের প্রভাবটা সীমিত হবে। তবে রুপির দাম কমায় রফতানিকারী দেশ হিসেবে ভারতের ‘কমপিটিটিভনেস’ কিছুটা বাড়তে পারে।ভারতের পেট্রাপোল স্থলবন্দরের কাস্টমস এজেন্ট পঙ্কজ রায় জানান, রুপির দাম কমায় ভারতীয় ব্যবসায়ীদের সাময়িক লাভ হতে পারে, তবে তাদের আসল সমস্যা অন্য জায়গায় থেকে যাবে।তিনি বলেন, পেট্রাপোল-বেনাপোল স্থলবন্দরে একটা মালবাহী ট্রাক যখন পণ্য খালাস করতে না-পেরে দিনের পর দিন দাঁড়িয়ে থাকে আর রফতানিকারীকে রোজ দেড়-দুহাজার টাকা করে লোকসান দিতে হয় তার সেই ক্ষতির তুলনায় এই ডলারের বিপরীতে লাভটা আসলে অতি সামান্য!তবে বাংলাদেশ থেকে যারা ডাক্তার দেখাতে, অস্ত্রোপচার করতে, নেহাত তাজমহল দেখতে বা আজমির শরিফ ভ্রমন করতে ভারতে আসবেন তাদের জন্য এটা বড় সুখবর কারণ টাকা বদলানোর পর তাদের হাতে নগদ রুপি এখন অনেক বেশি আসবে।প্রসঙ্গত, ২০১৩ সালের আগস্ট মাসে একই রকম রুপির বিপরীতে বাংলাদেশি টাকার দাম বাড়ে। কিন্তু সেই প্রক্রিয়া বেশিদিন স্থায়ী হয়নি, এখন ২০১৫তে এসে রুপি-টাকার বিনিময়হার কোথায় এসে স্থিতিশীল হয় তার ওপর অনেকটা নির্ভর করছে দুদেশের বাণিজ্যের গতিপ্রকৃতি।এসকেডি
Advertisement