বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বিএসএমএমইউ) ডক্টরস ক্যান্টিন যেন তেলাপোকার রাজত্ব। সেখানে রোগীর খাবারে মেশানো হচ্ছে বিষাক্ত অ্যামোনিয়া। অস্বাস্থ্যকর পোড়া তেলে তৈরি হচ্ছে খাবার। মূল্য তালিকা না থাকায় দামও নিচ্ছে ইচ্ছেমতো।
Advertisement
বুধবার রাজধানীর শাহবাগের বিএসএমএমইউর বিভিন্ন ক্যান্টিন ও রেস্টুরেন্টে জাতীয় ভোক্তা অধিকার সংরক্ষণ অধিদফতরের অভিযানে বেরিয়ে আসে এসব তথ্য। এ অভিযোগে তিনটি খাবারের প্রতিষ্ঠানটিকে সাড়ে তিন লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
অভিযান সার্বিক তত্ত্বাবধায়ন করেন অধিদফতরের ঢাকা বিভাগীয় কার্যালয়ের উপপরিচালক (উপসচিব) মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার। অভিযান পরিচালনা করেন অধিদফতরের ঢাকা জেলা অফিসের সহকারী পরিচালক মো. আব্দুল জব্বার মন্ডল।
উপপরিচালক মনজুর মোহাম্মদ শাহরিয়ার বলেন, বিএসএমএমইউর এ-ব্লকের পঞ্চমতলায় ডক্টরস ক্যান্টিনে তদারকি অভিযান পরিচালনা করা হয়। এই ক্যান্টিনের ভয়ালচিত্র দেখে উপস্থিত সবাই হতবাক। ক্যান্টিনের রান্নাঘরে বিপুলসংখ্যক তেলাপোকা দেখা যায়। ক্যান্টিনে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্যসামগ্রী উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাত করা হচ্ছে। পোড়া তেলে তৈরি হচ্ছে খাবার। এ অপরাধে ডক্টরস ক্যান্টিনকে এক লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
Advertisement
তিনি বলেন, হাসপাতালের অন্যান্য ক্যান্টিনও মানসম্মত নয়।। অবিশ্বাস্য হলেও সত্যি রোগীর খাবারে মেশানো হচ্ছে বিষাক্ত অ্যামোনিয়া। যা কোনোমতেই কাম্য নয়।
এদিকে হাসপাতালের ঠিক পশ্চিমপাশে অবস্থিত রসনাবিলাস হোটেলে শুধু এরারুট দিয়ে ডাক্তারের পরামর্শে রোগীদের স্যুপ তৈরি করছে। তারা ফ্রিজে কাঁচা মাছসহ বিভিন্ন ধরনের ভর্তা, রান্না করা তরকারি রেখেছে। যা স্বাস্থ্যের জন্য অত্যন্ত ক্ষতিকর। খাবারে ব্যবহার করছে পোড়া তেল। এছাড়া পণ্যের মূল্যতালিকাও নেই রেস্টুরেন্টে। এসব অপরাধে প্রতিষ্ঠানটিকে দুই লাখ টাকা জরিমানা করা হয়। এছাড়া কর্মচারী রেস্টুরেন্টে অস্বাস্থ্যকর পরিবেশে খাদ্যসামগ্রী উৎপাদন ও প্রক্রিয়াজাতকরণের অপরাধে ৫০ হাজার টাকা জরিমানা করা হয়।
একইদিন হাসপাতালের ঠিক পূর্বপাশে অবস্থিত নিউ শাহবাগ ফার্মেসি, নাদিম ফার্মেসি, ইত্যাদি ফার্মেসিকে মেয়াদোত্তীর্ণ ওষুধ বিক্রির অপরাধে ৫০ হাজার টাকা করে মোট দেড় লাখ টাকা জরিমানা করা হয়।
এসআই/বিএ
Advertisement